নবীউর রহমান পিপলু: ময়মনসিংহের
ভালুকায় বোমা
বিস্ফোরণে নিহত জঙ্গি নাটোরের আলম
প্রামাণিক। সে নাটোর সদর উপজেলার
চক আমহাটি
গ্রামের বাসিন্দা
ও এনএস
সরকারী কলেজের
রসায়ন বিভাগের
এমএলএস আবুল
কালামের ছেলে।
নিহত আলম
প্রামাণিক রোববার বিকেলে ভালুকার হরিবাড়ি
ইউনিয়নের কাশর
এলাকার জঙ্গি
আস্তানায় বোমা
বিস্ফোরনে নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে
প্রচারিত হয়।
এই খবর
প্রচারের পর
সোমবার সকাল
থেকে আলমের
বাপের
বাড়ি সদর উপজেলার চক আমহাটির
বাড়িতে গণমাদ্যম
কর্মী ও
পুলিশ সহ
এলাকবাসী ভীড়
করে।
আলমের প্রতিবেশীরা জানায়
আলম কখনও
মোটর মেকানিক,
কখনও রাজমিস্ত্রি
আবার কখনও
মোটর গাড়ি
চালাতেন। মূলত
সে দিন
মজুরি করতেন।
জঙ্গি আলমের বাবা
কালাম প্রামানিক
এনএস সরকারী
কলেজে কর্মরত
অবস্থায় সোমবার
সকালে লোক
মারফত ছেলে
আলমের দুর্ঘটনার
সংবাদ পান।
ছুটি নিয়ে
বাড়ির দিকে
ছুটতে থাকেন।
পথে অনেকের
সাথে দেখা
হলে তারাও
বিষয়টি তাকে
বলে। বাড়িতে
গিয়ে পুলিশ
ও গণমাধ্যম
কর্মী সহ
মানুষের ভীড়
দেখতে পান।
তিনি পুলিশ
ও গণমাধ্যম
কর্মীদের জানান,
তার ছেলে
আলম চলতি
বছরের ৭
এপ্রিল সকাল
৯ টার
দিকে তার
স্ত্রী পারভিন
আক্তার (২৫)
এবং তাদের
দুই শিশু
সন্তান ইয়াছিন
(৯) ও
৬ মাসের
ইসমাইলকে সাথে
নিয়ে কাজের
সন্ধানে ঢাকায়
যায়। কিন্তু
এর পর
থেকে তাদের
আর কোন
সন্ধান পাওয়া
যায়নি। এ
কারণে তিনি
গত ৬
জুলাই নাটোর
সদর থানায়
একটি জিডি
করেন। তিনি
জানান, শান্ত
প্রকৃতির আলম
শিশুকালে স্থানীয়
পাঠশালায় ফাইভ
পাশ করার
পর মহারাজা
স্কুলে ৬ষ্ঠ
শ্রেণীতে ভর্তি
হয়। কিন্তু
লেখাপড়ায় মন
না বসায়
সে দিন
মুজুরি শুরু
করে। পরে
সে মোটর
মেকানিক, রাজমিস্ত্রিী
ও ড্রাইভারিও
করেছে। প্রায়
বিশ বছর
আগে পাশ্ববর্তী
ভাটোদারা গ্রামে
মরহুম রমজান
আলীর মেয়ে
পারভিনের সাথে
তার বিয়ে
পড়ানো হয়।
ইত্যবসরে দু’টি সন্তান
তাদের দুটি
সন্তানের জন্ম
হয়। ঢাকায়
কাজে যাওয়ার
আগে সে
ব্যবসা করার
জন্য এক
লাখ টাকা
দাবী করে।
কিন্তু টাকা
না পেয়ে
সে নিজেই
কাজ খুজে
নেওয়ার কথা
বলে বউ
ছেলে নিয়ে
ঢাকায় যায়।
আবুল কালাম
জানান, তিনি
তার ছেলের
মধ্যে এমন
কোন জঙ্গি
ভাব দেখেননি।
এরপর যে
বোমা বিস্ফোরণে
মারা গেছে
সে আসলে
তার ছেলে
কিনা তা
বলতে পারবেন
না। কেননা
তিনি তার
ছেলেকে এখনও
দেখেননি। ছেলের
লাশ দেখলে
চিনে বলবেন।
জঙ্গি হলে
ছেলের লাশ
গ্রহণ করবেন
কিনা জানতে
চাইলে তিনি
কোন উত্তর
না দিয়ে
চুপ থাকেন।
নাটোর ডিবি পুলিশের
ওসি আব্দুল
হাই নিহত
জঙ্গি আলমের
বাড়ি সদর
থানার তেলকুপির
চক আম
হাটি এলাকায়
বলে নিশ্চিত
করে জানান,
তার বিষয়ে
আরও তদন্ত
করে দেখা
হচ্ছে।
এদিকে ইতিপূর্বে কুষ্টিায়ার
ভেড়ামারা থেকে
আটক নব্য
জেএমবির নারী
সদস্য সুমাইয়া
ওরফে মাহমুদার
বাড়িও ওই
এলাকায়। একারণে
এলাকাবাসী সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে
উদ্বেগের সৃষ্টি
হয়েছে। সাধারণ
মানুষ ধারণা
নাটোর কি
তাহলে নব্য
জেএমবির নিরাপদ
গোপন ঘাঁটি
।

Post a Comment