প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
জনসেবা হাসপাতালে
আসমা বেগম
(৪৮) নামে
এক রোগীর
পিত্তথলির পাথর অপসারণে অস্ত্রোপচারের সময়
একটি কিডনী
চুরি করে
নেওয়ার অভিযোগ
উঠেছে। এই
ঘটনায় ওই
হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ এমএ হান্নান
(৬০)কে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে
তিনটার সময়
এই ঘটনাটি
ঘটে। কিডনি
হারানো আসমা
বেগম সিংড়া
উপজেলার ছোট
চৌগ্রাম গ্রামের
ফজলুর রহমান
বিশ্বাসের স্ত্রী। আটক চিকিৎসক ডাঃ
এম এ
হান্নান রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
নাটোর সদর থানার
উপ-পরিদর্শক
(এসআই) মাসুদ
রানা পরিবারের
বরাত দিয়ে
জানান, গত
এক বছর
৮ মাস
আগে আসমা
বেগমের পেটে
পিত্তথলির পাথর ধরা পড়ে। চিকিৎসকের
পরামর্শে অনুযায়ী
তাকে নাটোর
শহরের মাদ্রাসা
মোড় এলাকার
জনসেবা হাসপাতালে
নিয়ে গিয়ে
অস্ত্রোপচার করানো হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের
৬ মাস
পর থেকে
তার পেটে
আবার ব্যাথা
অনুভব করেন
এবং মাঝে
মধ্যেই তিনি
অসুস্থ্য হয়ে
পড়েন। সম্প্রতি
রাজশাহী ও
নাটোরের বিভিন্ন
ক্লিনিক ও
ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ওই হাসপাতালেই
পুনরায় পরীক্ষা
নিরীক্ষা করা
হয়। এতে
আসমা বেগমের
ডান পার্শ্বের
কিডনি নেউ
বলে তাদের
জানানো হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে
আসমা বেগম
ও তার
স্বজনরা শুক্রবার
বিকেলে জনসেবা
হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে
তারা বিষয়টি
অস্বীকার করেন।
এনিয়ে উভয়
পক্ষের মধ্যে
কথা কাটাকাটি
শুরু হয়।
বাক বিতন্ডার
এক পর্যায়ে
উত্তেজনা ছড়িয়ে
পড়ে। বিষয়টি
ভয়াবহ আকার
ধারন করে।
খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিবেশ শান্ত
করেন। এসময় রোগী ও তার
পরিবারের সদস্যদের
মৌখিক অভিযোগের
ভিত্তিতে ওই
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের
সার্জারী বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক
ডাঃ এম
এ হান্নানকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এদিকে ঘটনার
পর থেকে
হাসপাতালের মালিক ডাঃ আমিরুল ইসলাম
পলাতক রয়েছেন।ওই
পুলিশ কর্মকর্তা
আরো বলেন,
এই ঘটনায়
মামলার প্রস্তুতি
চলছে। মামলা
হলেই আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
এদিকে রোগীর ছেলে
হাবিবুর রহমান
ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করে
জানান, এই
ঘটনাটি মিডিয়াকে
না বলতে
এবং থানায়
মামলা না
করতে তাকে
মোবাইলে বিভিন্ন
ভাবে হুমকি
দেওয়া হচ্ছে।
আবার কখনও
কখনও কিডনি
কেটে নেওয়ার
বিষয়টি স্বীকার
করে ডাঃ
আমিরুল ইসলাম
তাকে মিমাংসার
জন্য চাপ
দিচ্ছেন বলেও
অভিযোগ করেন
তিনি।
এবিষয়ে জনসেবা হাসপাতালের
মালিক ডাঃ
আমিরুল ইসলামের
সাথে মোবাইলে
একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া
যায়নি।
নাটোর সদর থানার
ওসি মশিউর
রহমান জানান,
মৌখিক অভিযোগের
প্রেক্ষিতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে
কর্তব্যরত চিকিৎসককে থানায় নিয়ে আসা
হয়। এবিষয়ে
তাকে জ্ঞিাসাবাদ
করা হবে।
লিখিত অভিযোগ
পেলে আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

Post a Comment