মামুনুর রশীদ: প্রধানমন্ত্রীর
ঘোষনার ৫
বছর পর
অবশেষে গত
(১৪ জুন)
মঙ্গলবার নাটোরের
চার-লেন
(প্রশস্ত করন)
সড়ক নিমার্ন
প্রকল্পটি একনেকে পাশ হয়েছে। একনেকের
সভায় ৫৮
কোটি ৩৩
লাখ টাকা
ব্যয়ে ফোরলেন
সড়কের অনুমোদন
দেওয়া হয়।
শহরের হরিশপুর
বাইপাস থেকে
বনবেলঘরিয়া পর্যন্ত মোট ৫ দশমিক
৮৬কিলোমিটার সড়কটি ফোরলেন হিসেবে প্রশস্ত
করা হবে।
এতে স্বপ্ন
পূরণের আশা
করছেন নাটোরবাসী। প্রকল্পটি
চলতি বছরের
জুলাই মাসে
শুরু হয়ে
২০১৯ সালের
জুলাই মাসে
শেষ হবে
বলে জানা
গেছে। দীর্ঘদিন
ঝুলে থাকা
প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখায় এখন
নাটোরের সর্বস্তরের
মানুষ উদ্বেলিত।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শহরবাসী যানজট
ও ছোটখাটো
দুর্ঘটনা সহ
অসহনীয় দুর্ভোগ
থেকে রক্ষা
পাবে। শহরের
মধ্যে দিয়ে
যাওয়া সড়ক
‘চারলেনে’ উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে
পাশ হওয়ার
সংবাদে আওয়ামীলীগ
শহরে আনন্দ
মিছিল বের
করে। গত
মঙ্গলবার দুপুরে
আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী ও অঙ্গ
সংগঠনের নেতা
কর্মীরা কান্দিভিটাস্থ
দলীয় কার্যালয়
থেকে আনন্দ
মিছিল বের
করে। মিছিলটি
শহরের গুরুত্বপুর্ন
এলাকা প্রদক্ষিন
করে পুনরায়
দলীয় কার্যালয়ে
গিয়ে শেষ
হয়।
এদিকে সরজমিনে গিয়ে
দেখা গেছে,
শহরের ছায়াবাণী
মোড়, মাদ্রাসা
মোড় ও
স্টেশন বাজার
এলাকায় সারাক্ষন
যানজোট লেগেই
থাকে। রাস্তা
সরু আর
দুপাশে ফুটপাত
দখল করে
চলছে ব্যবসা
বানিজ্য। শহরের
নিচা বাজার
বাটার মোড়
থেকে কেন্দ্রীয়
মসজিদ পর্যন্ত
যানজোট নিরসনে
এবং যান
চলাচল স্বাভাবিক
রাখতে কৃত্রিম
ভাবে
বাঁশ দিয়ে রোড ডিভাইডার তৈরী
করা হয়েছে।
এরপর সেখানে যানজোট
সৃষ্টির ফলে
জনসাধারনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। চারলেন
সড়ক নির্মাণের
কথা শুনে
মানুষে মনে
আশার সঞ্চার
হলেও অনেকে
আছেন হতাশায়।
কারন অনেকের
নামে বেনামে
অথবার অবৈধ
ভাবে গড়ে
তোলা স্থাপনা
ভাঙ্গা পড়বে।
তবে শহরবাসি
চারলেন সড়ক
নির্মাণকে ইতিবাচক মনে করছেন। পথচারী,
ব্যবসায়ী, রিক্্রা চালক থেকে শুরু
করে সকলেই
খুশি। সাবেক
পৌর ওর্য়াড
কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম ও হোমিও
চিকিৎসক ডাঃ
সৈয়দ আব্দুর
রশীদ জানান,
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাস্তার দু’পাশের
মানুষ কিছুটা
ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নিজেদের ও জনস্বার্থে
এবং শহরের
উন্নয়নে প্রকল্পটি
দ্রুত বাস্তবায়ন
হওয়া খুবই
জরুরী।
জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর
সম্পাদক দিলীপ
কুমার দাস
জানান, শহরের
ভিতর দিয়ে
৪ লেন
সড়ক নির্মান
করা হলে
যানজোট থেকে
মুক্ত হবে।
এটা ছিল
নাটোরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া। অবশেষে
মঙ্গলবার একনেকের
সভায় প্রকল্পটি
অনুমোদিত হওয়ায়
নাটোরের মানুষ
আনন্দিত। তিনি
আরো বলেন,
স্থানীয় এমপি
শফিকুল ইসলাম
শিমুলের প্রচেষ্টায়
নাটোরবাসীর দির্ঘদিনের প্রত্যাশার বাস্তাবায়ন করতে
এখন কোন
বাধা নেই।
এই প্রকল্প
অনুমোদিত হওয়ায়
নাটোরের মানুষ
এমপি শিমুলকে
অভিনন্দন জানাচ্ছে।
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর
মোস্তারুল ইসলাম আলম আনন্দ প্রকাশ
করে বলেন,
শহরের মধ্যে
দিয়ে যাওয়া
সড়কটি প্রশস্তকরনের
কথা স্বাধীনতার
পর থেকে
শুনে আসছেন।
কিন্তু গত
৪৫ বছরেও
সড়কটি উন্নয়নে
কোন অগ্রগতি
হয়নি। স্থানীয়
সংসদ সদস্য
ও জেলা
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম
শিমুলের চেষ্টায়
সড়কটি চারলেনে
উন্নীত করার
প্রকল্পটি পাশ হওয়ায় তারা আনন্দিত।
সংশি¬¬ষ্ট সূত্রে
জানা যায়,
২০১১ সালের
ডিসেম্বর মাসে
নাটোর সফরের
সময় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা
নাটোর শহরের
মধ্যে দিয়ে
যাওয়া প্রায়
৬ কিলোমিটার
সড়কের পুরাতন
অংশ চারলেনে
উন্নীত করার
ঘোষনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনার পর
শহরের প্রবেশমুখ
হরিশপুর বাইপাস
থেকে শহরের
মধ্যে দিয়ে
যাওয়া সড়কের
বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত ৫
দশমিক ৮৬
কিলোমিটিার পুরাতন অংশ চারলেনে (প্রশস্ত
করন) উন্নীত
করার প্রকল্প
প্রনয়ন করা
হয়।
এই প্রকল্পে সড়কের দু’ধারে
অবকাঠামো অপসারন
সহ জমি
অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি
বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ৯০
কোটি টাকা।
প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদনের জন্য সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয়ে
প্রেরন করা
হয়। কিন্তু
দীর্ঘ প্রায়
তিন বছরেও
প্রকল্পটির অনুমোদন না পাওয়ায় প্রস্তাবিত
পরিকল্পনাটি পুনরায় ডিপিপিতে প্রেরনের জন্য
বলা হয়।
সড়ক ও জনপথ
বিভাগের নির্বাহী
প্রকৌশলী জিকরুল
ইসলাম জানান,
ইতিপুর্বে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু
মন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের চারলেন
সড়ক প্রকল্প
এলাকা পরিদর্শন
করেছেন। এছাড়া
স্থানীয় সংসদ
সদস্য শফিকুল
ইসলাম শিমুল
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে
যোগাযোগ করা
সহ তদবির
করেছেন।
তিনি জানান, ৫
দশমিক ৮৬
কিলোমিটিার দৈঘ্যের
সড়কটি ৬০
থেকে ৬৫
ফুট প্রশস্তের
প্রস্তাব করা
হয়েছে। মাত্র
২ দশমিক
৪০ কিলোমিটার
অংশের অপকাঠামো
অপসারন সহ
জমি অধিগ্রহণের
প্রয়োজন হবে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদনের জন্য
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
প্রকল্পটি অনুমোদনের বিষয়ে কোন চিঠি
তিনি হাতে
পাননি। তবে
অন্যদের মত
তিনিও বিষয়টি
লোকমুখে শুনেছেন।

Post a Comment