প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পুঠিমারী
২য় পর্যায়ের
সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে
মুন্নী খাতুন
(১৪) নামের
এক মেধাবী
ছাত্রীকে যৌন
হয়রানীর অভিযোগে
এলাকায় মিছিল
সমাবেশ ও
মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক
ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে
উপজেলা নির্বাহী
অফিসার বরাবর
একটি লিখিত
অভিযোগও দিয়েছেন
এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে
জানা যায়,
শিক্ষক শফিকুল
ইসলাম তার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রাক্তন ছাত্রী
ও বর্তমানে
রশিদপুর বহুমুখী
উচ্চ বিদ্যালয়ে
নবম শ্রেণীতে
অধ্যায়নরত দুবাই প্রবাসী একই এলাকার
ইউনুস আলীর
মেয়ে মুন্নী
খাতুনকে দীর্ঘদিন
যাবৎ প্রাইভেট
পড়ানোর সুবাদে
বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে আসার
এক পর্যায়ে
তাকে যৌন
হয়রানী করে।
বিষয়টি এলাকায়
জানাজানি হওয়ার
পর থেকে
অভিযুক্ত ওই
শিক্ষক ও
ছাত্রীকে কোথাও
খুঁজে পাওয়া
যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী আরও জানায়,
ইতিপূর্বেও শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে
ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করায় শালিস
দরবারের ঘটনা
ঘটেছে। এমতাবস্থায়
ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়ায় শফিকুল
ইসলামকে তার
শিক্ষাগত পেশা
থেকে অপসারনের
দাবীতে বুধবার
বেলা সাড়ে
১০ টায়
ওই স্কুল
ক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী
সমাবেশ ও
মানববন্ধন করার পর একটি মিছিল
নিয়ে শ্লোগান
সহকারে এলাকার
বিভিন্ন সড়ক
প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে আ’লীগ
নেতা নজরুল
ইসলাম, মজিবুর
রহমান, মছির
উদ্দিন মোল্লা,
বয়েজ উদ্দিন,
মুনকের আলী
ছাড়াও ওয়ার্ড
মেম্বার সমশের
আলী, সাবেক
মেম্বার শহিদ
উদ্দিন, যুবলীগ
নেতা সাইদুল
ইসলাম প্রমুখ
বক্তব্য রাখেন।
এ ব্যাপারে ওই
ছাত্রীর মা
সেলিনা বেগম
বলেন, আমার
মেয়ের বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অপবাদ
দিচ্ছে। তবে
তার নানী
আজিরন বিবি
জানান, ওই
অভিযুক্ত শিক্ষকের
সাথে আমার
নাতনীর বিয়ে
হয়ে গেছে।
যোগাযোগ করলে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
ইয়াসমিন আক্তার
জানান, এ
ব্যাপারে অভিযোগ
পেয়েছি এবং
উপজেলা প্রাথমিক
শিক্ষা কর্মকর্তাকে
তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
দিয়েছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল
ইসলামকে খুঁজে
না পেয়ে
তার (০১৭৩১৯৩১১১৫)
মুঠোফোনে যোগাযোগ
করার চেষ্টা
করেও তার
ফোন বন্ধ
পাওয়া যায়।

Post a Comment