মামুনুর রশীদ: নাটোরের
বাজারে উঠেছে
হরেক রকম মৌসুমি
ফল।
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, করমচা,
কামরাঙ্গা ও আনারসে ভরে গেছে পুরো শহর। এর
সাথে রয়েছে
তরমুজ, বাঙ্গি, তাল শাস, পাকা
পেঁপে,
কলা আর পেয়ারাও। এদের সাথে পাল্লা
দিয়ে বিদেশী
ফল ড্রাগন
উঠেছে ফল
বাজারে। এসব
ফল বিক্রির
জন্য শহরের
প্রধান বাজারসহ
ফুটপাত, অলিগলিতে থরে থরে ফলের
পসরা সাজিয়ে
বসেছেন বিক্রেতারা।
আর এসব
দেশী ও
মৌসুমী ফলের
ভারে অনেকটাই
কমে গেছে
বিদেশী ফলের
কদর। ফলের
মৌসুম শুরু
হওয়ায় শত
শত মানুষ অন্য পেশার পাশাপাশি
জড়িয়ে পড়েছেন
মৌসুমি ফল
ব্যবসায়। চাহিদার
পাশাপাশি লাভ
ভালো হওয়ায়
এসব ব্যবসায়ী
এবং কৃষক
ও পাইকারি
বিক্রেতারাও খুশি। সরেজমিনে শহরের কয়েকটি
ফল বাজার
ঘুরে দেখা
যায়, ভরা
মৌসুমেও আমের
দাম বেশ
চড়া। প্রতি
কেজি কানাইলাল
৮০ টাকা,
গোপালভোগ ৭০
থেকে ৮০
টাকা, খিরসা
৬০ থেকে
৬০ থেকে
৭০ টাকা,
লেংড়া ৬০
থেকে ৭০
টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে।
অথচ গত
বার এই
সময়ে বিক্রি
হয়েছে অনেক
কম দামে।
অপরদিকে বিক্রেতারা
লিচুর দাম
হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছেমত।
লিচুর মৌসুম
প্রায় শেষের
পথে এমন
অজুহাতে ৩০০
থেকে ৩৫০
টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে
প্রতি' শ
লিচু। আর
ফলের ভরা
মৌসুম হলেও
জাম, পেয়ারা,
জামরুল, আনারস,
কলা, কামরাঙ্গা,
কাঠালসহ কোনো
ফলের দামই
কমেনি। বাজারে
প্রতি কেজি
পেয়ারা ৭০
টাকা, জামরুল
সাদাটা ৭০
টাকা,
জামরুল লালটা ৮০ টাকা, বনকাঠাল
প্রতিপিস ২৫
থেকে ৩০
টাকা, কামরাঙ্গা
৬০ টাকা,
আনারস ৯০
থেকে ১০০
টাকা জোড়া,
তরমুজ ৫০
থেকে ৬০
টাকা কেজি,
করমচা ১২০
টাকা কেজি,
তাল শাস
প্রতি পিস
৭/৮
টাকা, কলা
প্রতি হালি
৩০ থেকে
৩৫ টাকা
হালি দরে
বিক্রি হচ্ছে।
আর ড্রাগন
ফল বিক্রি
হচ্ছে প্রতি
কেজি ৫০০
টাকা দরে।
শহরের মসজিদ
মার্কেটের পার্শ্বে ঝিলিক ফল ভা-ারে সাবিনা
ইয়াসমিন ও
নাসির উদ্দিন
নামের দুইজন
ক্রেতা জানান,
যে কোন
ফল কেনার
আগে সেটাতে
রাসায়নিক পদার্থ
আছে কিনা
তা যাচাই
করার চেষ্টা
করেন। এছাড়া
গাছপাকা, টাটকা
এসব দেখে
ফল কেনার
চেষ্টা করেন।
এক্ষেত্রে ভাল মানের ফলের দাম
একটু বেশী
হলেও
সমস্যা নেই। ছায়াবানী মোড়ে ফলের
দোকানে আরেক
ক্রেতা নাইমুর
রহমান জানান, ফলের পুরো মৌসুম শুরু
হলেও ফলের
দাম আকাশ
ছোয়া। এমন
সময় কখনো
এতো দাম
দেখিনি। যেহেতু
ফলের মৌসুম
চলছে, তাই
দাম বেশী
হলেও তা
কিনতে হচ্ছে।
ফল ব্যবসায়ী
সাদেকুজ্জামান জানান, রমজান মাসে এবার
দেশী ফলের
বেশ চাহিদা
রয়েছে। কিন্তু
গত বছরের
চেয়ে এবার
সব রকম
ফলের আমদানি
তুলনা মুলক
কম। তাই
এবার ফলের
দাম একটু
বেশী। তার
পরও ক্রেতাদের
চাহিদা বেশী,
বিক্রিও বেশী
হচ্ছে। অপর
ফল ব্যবসায়ী
বাবু জানান,
ফলের বাজার
ঈদের পরেই
কমে যাবে।
কারন বাজারে
আরো আম,
কাঠালসহ বিভিন্ন
ফলের আমদানি
হবে।


Post a Comment