সিংড়া প্রতিনিধি: প্রতিভাবান
শিশু শিল্পী
বৃষ্টি (১৪)
বাঁচতে চায়,
বড় শিল্পী
হতে চায়।
২০১৬ সালে
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পেয়েছে বাংলাদেশ শিশু
একাডেমির জাতীয়
শিশু পুরস্কার
প্রতিযোগিতার সনদ। এছাড়াও উপজেলা থেকে
শুরু করে
জেলা, বিভাগীয়
ও জাতীয়
পর্যায়ে রয়েছে
তার প্রতিভার
স্বাক্ষর। সেই শিশুকাল থেকে সংগীতের
প্রবল প্রতি
টান তার।
প্রতিভার স্বাক্ষর
হিসেবে গুনী
সংবর্ধনা একাধিক
মেডেল ও
সম্মাননা ক্রেস্ট
রয়েছে তার
ঝুঁড়িতে। বৃষ্টি
নাটোরের সিংড়া
উপজেলার কলম
ইউনিয়নের কলম
গ্রামে লিটন
আলীর মেয়ে।
সে স্থানীয়
কলম উচ্চ
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
মেধাবী শিক্ষার্থী
হিসেবে শিক্ষকদের
কাছে প্রিয়মুখ
বৃষ্টি।
বর্তমানে বৃষ্টি দুরারোগ্য
ব্রেইন টিউমারে
আক্রান্ত। আর দশজন শিশুর মতই
বৃষ্টিও বাঁচতে
চায়। দেশের
জন্য কিছু
করতে চায়।
বৃষ্টির চিকিৎসার
জন্য প্রায়
১৫লাখ টাকার
প্রয়োজন, যা
তার গরীব
পরিবারের পক্ষে
সম্ভব নয়।
তাই আদরের
কন্যা সন্তানের
জীবন বাঁচাতে
সমাজের দানশীল
বিত্তবানসহ সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন
জানিয়েছেন অসহায় পরিবার।
জানা যায়, বৃষ্টির
বাবা লিটন
আলী পেশার
একজন কৃষক।
মা ছবেদা
পারভীন স্থানীয়
কলম সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
একজন সহকারি
শিক্ষিকা। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে
তাদের সংসার।
বৃষ্টির বাবা
সংসারের দেখাশোনা
না করায়
নানার বাসাতেই
থাকতে হয়
তাদের। গত
কয়েক মাস
যাবত বৃষ্টির
শ^াস
প্রশ^াসে
সমস্যা, মাঝে
মাঝেই জ¦র,বমি
বমি ভাব,ঘুম না
হওয়া,চোখের
কম দেখা
সহ প্রচন্ড
মাথা এসব
লক্ষন দেখা
দেয়। সে
কারনে গত
মাসের ৩
তারিখে জেলা
সদর নাটোর
তারপর রাজশাহী
ও ঢাকাতে
পরীক্ষা নিরীক্ষা
করা হয়।
পরীক্ষায় বৃষ্টির
ব্রেইন টিউমার
ধরা পড়ে।
এরপর থেকেই
পরিবারের সদস্যদের
মধ্যে হতাশার
ছাপ বিরাজ
করছে।
সরেজমিন বৃষ্টির বাড়িতে
গিয়ে দেখা
যায়, সর্বদা
হাস্যোজ্জ্বল-প্রাণবন্ত বৃষ্টি ও তার
পরিবারের সদস্যদের
চোখে মুখে
হতাশার ছাপ।
বিছানার উপরে
বিছিয়ে রাখা
মেডেল ও
কৃতিত্বের সনদগুলোতে বার বারই হাত
বুলাচ্ছে সবাই।
এ সময় বৃষ্টি
জানায়, আমি
বড় হয়ে
একজন বড়
শিল্পী হতে
চাই। বাঁচতে
চাই,দেশের
মানুষের জন্য
ভালো কিছু
করতে চাই।
স্বপ্ন দেখা
পাপ নয়।
উন্নত চিকিৎসা
করা হলে
হয়ত আবারও
সুস্থ্য হয়ে
উঠবো। অসুস্থতার
কারনে এখন
গান গাইতে
একটু সমস্যা
হয়। ভালো
ভাবে শ^াস নিতে
পারি না।
মাথা প্রচন্ড
ব্যথা করে।
কিছুদিন পর
চ্যানেল আইয়ের
সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতা।
বিভাগীয় পর্যায়ে
উত্তীর্ণ হয়েছি।
প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে চাই।
বৃষ্টির মা ছবেদা
বেগম জানান,
ছোট বেলা
(৩য় শ্রেণি)
থেকেই সংগীতের
প্রতি খুব
টান ছিল।
নাটোর শিল্প
কলা ও
বাসায় সংগীতের
শিক্ষকের মাধ্যমে
বৃষ্টিকে গান
শেখানো হয়।
প্রতিভার কারনে
সে আন্তঃ
প্রাথমিক ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতা, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা,
জাতীয় শিক্ষা
সপ্তাহ ইত্যাদি
প্রতিযোগিতায় সংগীত বিষয়ে অংশগ্রহণ করে
জাতীয় পর্যায়ে
পুরস্কার প্রাপ্ত
হয়। ২০১৪
সালে মার্কস
অলরাউন্ডার এনটিভির প্রোগ্রামে সারা বাংলাদেশে
সেরা-৯
অবস্থানে ছিল।
২০১৬ সালের
জাতীয় শিশু
পুরস্কার প্রতিযোগিতায়
লালন সংগীতে
জাতীয় পর্যায়ে
প্রথম স্থান
অধিকার করে
মহামান্য রাষ্ট্রপতির
নিকট হতে
গোল্ড মেডেল
পায়। ২০১৭
সালে চ্যানেল
আই সেরাকন্ঠ
প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়ে
ঢাকায় অংশগ্রহণের
সুযোগ পেয়েছে।
বর্তমানে সে হঠাৎ
করে ব্রেইন
টিউমারে আক্রান্ত
হয়ে মৃত্যুর
সঙ্গে পাঞ্জা
লড়ছে। ডাক্তারের
পরামর্শক্রমে জরুরী ভাবে দেশের বাহিরে
গিয়ে অপারেশন
করা প্রয়োজন।
মেয়ের চিকিৎসা
বাবদ প্রায়
১৫ লক্ষ
টাকার প্রয়োজন।
আমার পক্ষে
এত টাকা
সংগ্রহ করে
বিদেশ গিয়ে
মেয়ের চিকিৎসা
করানো সম্ভব
নয়। শিক্ষকতা
করি। ব্যাংক
থেকে ৫লাখ
টাকা সার্ভিস
লোন করেছি।
আরও টাকা
প্রয়োজন। বৃষ্টির
উন্নত চিকিৎসার
জন্য সকলের
আর্থিক সাহায্যের
আবেদন জানাচ্ছি।
আপনাদের পাঠানো
সাহায্যে বৃষ্টিকে
আবারও স্বাভাবিক
জীবন ফিরে
পেতে পারে।
শিক্ষক আজাহার হোসেন
জানান, প্রতিভাবান
শিশু শিল্পী
ও মেধাবী
শিক্ষার্থী হিসেবে বৃষ্টি অতি পরিচিত
একটি মুখ।
চিকিৎসার অভাবে
এভাবে ঝরে
যেতে পারে
না এ
প্রাণ। বৃষ্টির
সুচিকিৎসায় সবারই এগিয়ে আসা উচিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোহাম্মদ নাজমুল
আহসান বলেন,
এ বিষয়টি
জানার পরে
জেলা প্রশাসক
মহোদয়ের সাথে
আলাপ করেছি।
বৃষ্টির চিকিৎসায়
প্রশাসনিক ভাবে তার পাশে পরিবারের
পাশে দাঁড়ানো
হবে।
মানবিক সাহায্য পাঠানঃ-
সঞ্চয়ী হিসাব
নং- ১২৮৪৫,রুপালী ব্যাংক,সিংড়া শাখা,
০১৭৩৭-২৯৭৭২২
(বিকাশ নম্বর
বৃষ্টির মা)।

Post a Comment