স্টাফ
রিপোর্টার: নাটোর সদর উপজেলার বারঘরিয়া
শিবপুর আদর্শ
গ্রামের তিন
বাসিন্দার কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা
না পেয়ে
স্থানীয় ইউপি
মেম্বার ইমরানের
নেতৃত্বে একদল
যুবক হামলা
চালিয়ে বাড়ি
ভাংচুর ও
বাড়ির গৃহবধূদের
শ্লীলতাহানি করেছেন এই অভিযোগ করার
পর, পুলিশের
আশ্বাসে বাড়ি
ফিরলে পরদিন
রাতে আবার
হামলা চালিয়ে
অভিযোগকারী নারী সহ চারজনকে পিটিয়ে
জখম করার
অভিযোগ পাওয়া
গেছে। উক্ত
(প্রথমবার) হামলা চালিয়ে বাড়ি ভাংচুর
ও বাড়ির
গৃহবধূদের শ্লীলতাহানি ঘটনাটি ঘটেছে গত
২৪ মে
(বৃহস্পতিবার) রাত দশটার দিকে ছাতনী
শিবপুর আদর্শ
গ্রামে। এবিষয়ে
থানায় লিখিত
অভিযোগ দায়ের
করার পর
পুলিশের আশ্বাসে
হামলার শিকার
ভিকটিম বাড়িতে
ফিরে গেলে
পরদিন ২৫
মে রাতে
উক্ত সন্ত্রাসী
বাহিনী আবারও
হামলা চালিয়ে
রাশেদা, আনোয়ারা,
সেলিম সহ
চারজনকে পিটিয়ে
মারাতœকভাবে
জখম করেছে।
আহতদের নাটোর
সদর হাসপাতালে
ভর্তি করলে
সেখানেও নিরাপত্তার
অভাবে ও
ভয়ে হামলার
শিকার আহত
রাশেদা, আনোয়ারা,
সেলিম পালিয়ে
যায়। এমনকি
এই ঘটনার
ব্যাপারে ভিকটিমরা
পুলিশের কাছে
আবার অভিযোগ
করার সাহস
পর্যন্ত পাচ্ছে
না।
এবিষয়ে
সংবাদ পেয়ে
সরেজমিনে নাটোর
প্রেসক্লাব থেকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক
এলাকায় ও
হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে
কথা বলে
ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত হন।
উল্লেখ্য
প্রথম দিন
হামলা করে
বাড়ি ভাংচুরের
পর, এব্যাপারে
নাটোর সদর
থানায় লিখিত
অভিযোগে আব্দুর
রাজ্জাকের স্ত্রী মোছা: রাশেদা বেগম
জানান, স্থানীয়
ছাতনী শিবপুর
গ্রামের আহসান
মোল্লার পুত্র
রবিউল, মো:
আহসানের পুত্র
সিরাজ মিয়া,
জনৈক ব্যাক্তির
পুত্র শহিদ
মিয়া ও
মো: আরিফুল
ইসলাম, মো
মুল্লুক চাঁনের
পুত্র মো:
আমির, কালি
দাসের পুত্র
শ্রী বাবলু
দাস, মো:
ইব্রাহীমের পুত্র ইমরান মেম্বার,
মো: আনিসুর রহমান, মৃত কালু
শেখের পুত্র
মো: রসূল
শেখ গং
দীর্ঘ দিন
যাবৎ আমাদের
তিন পরিবারের
প্রত্যেকের নিকট ৭৫০০০ টাকা করে
চাঁদা দাবি
করে আসছে।
উক্ত চাঁদার
টাকা না
দেওয়ায় বাড়ি
ঘর উচ্ছেদ
করা সহ
নানাভাবে ভয়ভীতি
দেখাচ্ছিল। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার
রাত দশটার
দিকে উক্ত
ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে
দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে পরিবারের ছেলে
ও মেয়েদের
মারধর করে
ও বসতবাড়ি
ভাংচুর, লুটপাট
করে। এমনকি
বাড়ির মহিলাদের
ধরে টানাহেচড়া
করে কাপড়চোপড়
ছিড়ে ফেলে,
এমতাবস্থায় প্রাণ রক্ষার্থে আমরা পালিয়ে
যাই ও
পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন
সরকারকে বিষয়টি
অবহিত করলে,
তিনি থানায়
অভিযোগ দায়েরের
পরামর্শ প্রদান
করেন।
এবিষয়ে
জানতে চাইলে
স্থানীয় ইউপি
মেম্বার ইমরান
বলেন, ঐ
গ্রামের পঞ্চাশ
পরিবারে নিজেদের
মধ্যে সমস্যা,
আমি স্থানীয়
মেম্বার হিসাবে
শান্তি-শৃংখলা
বজায় রাখতে
সেখানে গিয়েছিলাম,
চাঁদা দাবির
ব্যাপারে আমি
কিছু জানি
না এবং
এর সাথে
আমি কোনভাবে
জড়িত নই।
এবিষয়ে
নাটোর সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (অপারেশন) সিকদার মশিউর রহমান
জানান, থানায়
মামলা হয়েছে,
আসামিদের গ্রেফতারে
অভিযান চলছে।
এবিষয়ে
নাটোর সদর
থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান,
আমি বাহিরে
আছি, থানায়
গিয়ে খোঁজ
নিয়ে দেখব।

Post a Comment