মোঃ কামাল হোসেন: নাটোর থেকে প্রকাশিত “দৈনিক প্রান্তজন” পত্রিকায় “স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে কেউ খোজ নেয়নি: একাত্তরের শহিদ সৈয়দ আলী মুন্সীর ছেলে ৬৫ বছর বয়সেও কুলির কাজ করেন!” শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্ট ও শহিদ সৈয়দ আলী মুন্সীর ৬৫ বছর বয়সী পুত্র বৃদ্ধ আবুল কালাম আজাদ (আবু) পিঠের উপর বস্তা নিয়ে চলেছেন এইরকম বেদনাদায়ক ছবি দেখে অত্যন্ত ব্যতিত হন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ স্মরণে দেশ ব্যাপী ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ছাতনী বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগিয়ে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কুলি পেশায় নিয়োজিত আবুল কালামের হাতে ৩০ হাজার টাকা এবং শহীদ জায়া আনোয়ারা বেগমের হাতে ১৫ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেন। এসময়ে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, অর্থ সম্পাদক ডাঃ মামুন-আল মাহতাব, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়–য়া ও ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, নাটোর জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম, নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মালেক শেখ, নাটোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নূরুল ইসলাম, দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার সম্পাদক সাজেদুর রহমান সেলিম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জ্বল হোসেন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা হোসেন মোল্লা, নাটোর সদর থানা আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক হাজী আব্দুল কাদের, তেবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম সবুজ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জালাল উদ্দিন ও আবুল কালাম প্রমুখ। এসময় ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির একত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পদের মালিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের বলে দাবী করেছেন । তিনি আরো বলেন, যে জাতি বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা সে জাতি মাথা উচু করে দাড়াতে পারেনা। এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্সা চালাতে হয় এবং শহীদের সস্তানদের বোঝা টানতে ও ভিক্ষা করতে হয় এর চেয়ে লজ্জার ও অপমানের কিছু নেই। তবে বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১০ হাজার করেছে পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সম্মাননা দিয়ে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি গণহত্যাকারীদের সম্পদ বজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি জানান। এসময় শাহরিয়ার কবির দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার প্রতিবেদনের প্রশংসা করেন এবং সকল সাংবাদিককে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে গর্ব করে বলেন আমি পঞ্চাশ বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সাথে জড়িত, সাংবাদিকদের এই রকম প্রান্তজনের খবর বেশি বেশি প্রকাশ করা উচিত।

Post a Comment