Halloween Costume ideas 2015

নাটোরে শতাধিক ‘হাসকিং’মিল লাইসেন্স বাতিল: ক্ষতির মুখে চালকল মালিকরা


প্রান্তজন রিপোর্ট: শর্তভঙ্গ চুক্তির অযোগ্যতার অজুহাত দেখিয়ে নাটোরে শতাধিক হাসকিং মিল লাইসেন্স বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চালকল মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্থ মিল মালিকদের অভিযোগ, একটি লাইসেন্স করতে তাদের কাছে থেকে ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। একবার বরাদ্দ দেওয়ার পরই ওই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলার শতাধিক হাসকিং মিল লাইসেন্স যেসব কারন দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে, সেসব অযোগ্যতা থাকা সত্বেও অন্যন্য উপজেলায় বহাল রাখা হয়েছে।
সংশি¬ষ্ট সুত্রে জানাযায়, সদর উপজেলায় গত মাস আগে হাসকিং মিল লাইসেন্সধারীর সংখ্যা ছিল ২০৪ জন। শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি বয়লারের সঙ্গে মিল সংযুক্ত থাকতে হবে। জমি সহ মিল,মটর, নিয়মিত বিদ্যুৎ চালু,গুদাম ঘর থাকা এবং বয়লারের জমি লাইসেন্সধারীর নিজ নামে থাকতে হবে। পরিবেশগত সনদ থাকা বাঞ্চনীয় শর্ত অনুযায়ী এসব চাউলকল সমুহে মিলিং ক্ষমতা থাকতে হবে। তদন্তসাপেক্ষে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ সদর উপজেলার ২০৪ জনকে সরকারী খাদ্য সংগ্রহের জন্য হাসকিং মিল লাইসেন্স প্রদান করে। অভিযোগ আছে,এই হাসকিং মিল লাইসেন্স দেওয়ার সময় মিল মালিকদের কাছে থেকে ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ বিধি অনুযায়ী ৬শ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা সরকারী ঘরে জমা দেওয়ার কথা। সদর উপজেলার দস্তানাবাদ এলাকার মিঠু চালকল মালিক জানান,হাসকিং মিল  লাইসেন্স প্রদানের সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদিশ কুমার সরকার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের অফিস সহকারী তার কাছে থেকে ৪৫ হাজার টাকা বুঝে নেন। পরবর্তীতে তাকে ১০টন ৪৫০ কেজি খাদ্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তার হাসকিং মিল লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এই কারনে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বাতিল হওয়া প্রায় সকল হাসকিং মিলারদের এমন অভিযোগ বারুঘাট এলাকার ভাই ভাই চাউল কল মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদীশ কুমার সরকার সহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তা একাধিকবার তদন্তও যাচাই বাছাই করে লাইসেন্স দেন। কিন্তু হঠাৎ কি কারনে তা বাতিল করা হয়েছে তারা কেউ জানেননা। অথচ লাইসেন্স করার সময় খাদ্য বিভাগের ওই কর্মকর্তা প্রায় ৩৫ হাজার টাকা বুঝে নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে প্রত্যেক মিলারের কাছে থেকে বিপুল অংকের অর্থ নেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স বাতিল করায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এবিষয়ে জানতে সদ্য বদলী হওয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদীশ কুমার সরকারের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ( ০১৭১২-২২৩৭১৮) যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবারই লাইন কেটে দেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম শতাধিক হাসকিং মিল লাইসেন্স বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,যারা চুক্তির অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন তাদেরই হাসকিং বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশ ছিল অযোগ্য শর্ত ভঙ্গকারীদের হাসকিং বাতিল করার জন্য। তবে কেউ শর্ত পুরণ করে পুনরায় আবেদন করেন তাকে হাসকিং মিল লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থ নেওয়ার বিষয়টি কেউ তার কাছে অভিযোগ করেননি বলে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget