মোঃ কামাল হোসেন:
নাটোর শহরে
ভিক্ষা করেন
৮২ বছরের
বৃদ্ধ ইউসুফ
গাজী। তার
কপালে জোটেনি
একটি বয়স্ক
ভাতা কার্ড।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে তাহলে কার্ডগুলো
পায় কারা?
তারা কি
ইউসুফ গাজীর
চাইতে বেশি
বয়স্ক, নাকি
বেশি গরীব?
বয়স্কভাতা কার্ড পাওয়ার যোগ্যতাই বা
কি? উক্ত
ইউসুফ গাজী
নাটোর সদরের
আগদিঘা কাটাখালির
বাসিন্দা মৃত
ইব্রাহিম গাজীর
পুত্র। তার
জাতীয় পরিচয়
পত্রে দেওয়া
জন্ম তারিখ
অনুযায়ী তার
বয়স ৮২
বছর। আগদিঘা
কাটাখালী গ্রামটি
১নং ছাতনী
ইউনিয়নের ১নং
ওয়ার্ডে পড়েছে।
বহুকাল থেকে
ছাতনী ইউনিয়ন
সারা দেশে
বহুল পরিচিত
নাটোরের রাজনীতির
প্রাণ পুরুষ
বাবু শংকর
গোবিন্দ চৌধুরীর
গ্রামের বাড়ী।
তাছাড়া ছাতনী
আরেক আওয়ামী
লীগ নেতা
মরহুম হানিফ
আলী শেখের
ইউনিয়ন হিসাবে
পরিচিত।
সরেজমিনে দেখতে ইউসুফ গাজীর বাড়ি
যেতে হল
নাটোরের পাণপুরুষ
প্রয়াত সংসদ
সদস্য বাবু
শংকর গোবিন্দ
চৌধুরীর সমাধি
পেরিয়ে কিছু
দূর এগিয়ে
নদীর ওপারে
আগদিঘা কাটাখালী
গ্রাম। গ্রামটিতে
ধনীর চাইতে
গরীব বেশি
আবার নাটোরের
অন্য এলাকা
থেকে অনুন্নত
এলাকা। ইউসুফ
গাজীর কথা
জিজ্ঞাসা করতেই
দেখিয়ে দিল
একজন। এলাকাবাসীর
সাথে কথা
বলে, শুনা
গেল বয়স্ক
ভাতা কার্ড
ও ন্যায্য
মুল্যের চাউলের
নানান কথা।
এব্যাপারে উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার ও
ওয়ার্ড আওয়ামী
লীগ সভাপতি
মোঃ দেলোয়ার
হোসেন বলেন,
আমি নির্বাচিত
হওয়ার পর
বয়স্ক ভাতা
তালিকা করা
হয়নি। তাহলে
ন্যায্য মুল্যের
কার্ড দিয়েছেন
কিনা জানতে
চাইলে তিনি
না সূচক
উত্তর দেন।
এব্যাপারে উক্ত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার
মোছাঃ শাহানাজ
পারভীন বলেন,
লোকটিকে আমি
ভোটের আগে
কথা দিয়েছিলাম
কিন্তু কার্ড
করার সময়
তার কথা
আমার স্বরণ
ছিল না।
তাছাড়া ঐ
এলাকার তালিকা
করার দায়িত্ব
ছিল কদর
ভাইয়ের উপর
তিনি কেন
ইউসুফ গাজীকে
কার্ড দেননি
তা জানি
না। ১নং
ছাতনী ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান
তোফাজ্জল হোসেন
সরকার বলেন,
ভিক্ষা করা
ইউসুফ গাজীর
স্বভাব। কোথায়ও
অনুষ্ঠান হলে সে দাওয়াত ছাড়া
হাজির হয়ে
যায়।

Post a Comment