প্রান্তজন রিপোর্ট: মুক্তিযোদ্ধা
পরিবারের সদস্য
হয়েও স্বামীর
ভিটা থেকে
বিতারিত হয়ে
মানবেতর জীবন
কাটাতে হচ্ছে
গৃহবধু ফিরোজা
বেগমকে। উপরন্তু
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বামী আনিসুর রহমানের
স্বীকৃতিও মেলেনি। স্বজনদের রোষানলে পড়ে
স্বামীর ভিটে
থেকে বিতারিত
ফিরোজা বেগমকে
নাতি পুতি
নিয়ে ভাড়া
বাসায় জীবন
কাটাতে হচ্ছে।
দেড় বছর
আগে মুক্তিযোদ্ধা
স্বামীর মৃত্যুর
পর অসহনীয়
জীবন কাটাতে
হচ্ছে ফিরোজা
বেগমকে। বয়সের
ভারে কর্মক্ষম
হয়ে পড়া
ফিরোজা বেগম
এখন অন্যের
সহায়তার ওপর
নির্ভর করে
জীবন অতিবাহিত
করছেন।
ফিরোজা বেগম জানান,স্বাধীনতার পর
তৎকালীন এমসিএ
শংকর গোবিন্দ
চৌধুরীর সহায়তায়
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখার জন্য
তার স্বামী
আনিসুর রহমানকে
২৫ শতক
জমি দেওয়া
হয়। কিন্তু
স্বজনদের রোষানলে
পড়ে ওই
ভিটে থেকে
সরে আসতে
হয় আনিসুর
রহমানকে। আদালতের
নির্দেশ সত্বেও
স্বজনদের বাধায়
ওই ভিটেতে
ফিরতে পারেননি
আনিসুর রহমান।
ভিটে থেকে
বিতারিত হয়ে
পাশেই দক্ষিনপটুয়াপাড়া
এলাকায় এক
ভাড়া বাসায়
গিয়ে ওঠেন।
সেখানেই ছেলে,মেয়ে ও
নাতি-পুতি
নিয়ে দুর্বিসহ
জীবন কাটাচ্ছেন
ফিরোজা বেগম।
তিনি তার
স্বামীকে মুক্তিযোদ্ধার
স্বীকৃতি প্রদান
সহ ওই
ভিটেতে ফিরে
যাওয়ার ব্যবস্থা
করতে সরকারের
প্রতি দাবী
করেছেন।
মেয়ে আফরোজা বেগম
লিপি জানান,বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা
হিসেবে তালিকাভুক্ত
করার জন্য
তার মৃত্যুর
পর মুক্তিযোদ্ধা
সংসদ সহ
বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি করেও কোন পরামর্শ
পাননি কারও
কাছে।
প্রতিবেশী মজনু মিয়া,আব্দুল জলিল
জানান, মরহুম
আনিছুর রহমান
একজন বীর
মুক্তিযোদ্ধা। তার স্বজনরাও মুক্তিযুদ্ধের পরিবার।
নাটোরের শহীদ
বীর মুক্তিযোদ্ধা
মজিবর রহমান
রেজা তার
আপন ভাতিজা।
৭১ এ
মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুদাসপুরে রেজা সহ
দুই মুক্তিযোদ্ধাকে
পাকসেনা ও
রাজাকাররা নৃশংসভাবে হত্যা করার পর
আনিসুর জীবনের
ঝুকি নিয়ে
রেজার মৃতদেহ
নাটোরে নিয়ে
আসেন। মুক্তিযুদ্ধে
তার ভুমিকাও
কমতি ছিলনা।
কিন্তু তিনি
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি ৪৫
বছরেও।
সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার নুরুল
ইসলাম জানান,
আনিসুর রহমানের
নাম উচ্চারিত
হয় অনেক
জায়গায়। তবে
নতুন তালিকায়
অর্ন্তভুক্ত হওয়ার জন্য তারা আবেদন
করেছেন কিনা
তা তিনি
জানেন না।

Post a Comment