প্রান্তজন রিপোর্টঃ বাবা চক্ষু
বিভাগ কোনটা? হঠাৎ প্রশ্ন শুনে তাকিয়ে দেখি প্রায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা চক্ষু বিভাগ খুজে
বেড়াচ্ছেন কিন্তু উত্তর দেওয়ার জন্য হাসপাতালের কাউকে পাওয়া গেলো না। পাশে বেলঘরিয়া
থেকে এসেছেন আয়েশা নামের একজন চোখের এ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যথারীতি কাউন্টার
থেকে টিকেট দেওয়া হয়েছে। তিনিও চক্ষু বিভাগ খুজছেন। এভাবে অনেক রোগী আসছেন নাটোরের
সবচেয়ে বড় হাসপাতাল, নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতাল। মজার বিষয় হল হাসপাতালের নামের সাথে আবার আধুনিক শদ্ব আছে কিন্তু। সরেজমিনে গতকাল ১২ নভেম্বর শনিবার গিয়ে দেখা গেল,
নাটোর সদর হাসপাতালের চিত্র এটি। কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়া চক্ষু বিভাগে তালা ঝুলানো দেখতে
পাওয়া গেল। দরজায় ও পাশে দেওয়ালে কাগজে প্রিন্ট করা একটি কপি লেখা রয়েছে, সোমরার ও
বুধবার অপারেশনের দিন, এই দুই দিন রোগী দেখা হয় না। এদিকে আবার টিকেট কাউন্টার থেকে
যথারীতি টিকেট দেওয়া হচ্ছিল। টিকেট নিয়ে আবার দুরদুরান্ত থেকে আসা রোগীরা চক্ষু বিভাগ
খুজে তো পাচ্ছিল না তার উপর কোন তথ্যদাতা পাওয়া গেল না। এই হল আধুনিক হাসপাতালের আধুনিক
নমুনা! চক্ষু বিভাগের সম্পর্কে জানতে চাইলে কেউ কথা বলতে চায়নি। এই রুম সেই রুম ঘুরে
অবশেষে কথা বললেন অফিস সহকারী বাসস্তী ঠাকুর। তিনি বললেন, ডাক্তার ছুটিতে আছে এর বেশি
কিছু বলতে পারবনা। তাহলে টিকিট দেওয়া হচ্ছে কেন এই প্রশ্ন করলে, বাসস্তী ঠাকুর উত্তর
দেন, এই টিকিট দিয়ে পরে যে কোন দিন দেখানো যাবে। উত্তর শুনে থ হয়ে গেলাম, আর কোন প্রশ্ন
করার আগ্রহ জাগলো না। শুধু ভেবে নিলাম আধুনিক হাসপাতাল তো আধুনিক নিয়ম। সবই হয়তো সম্ভব।
রোগী এসেছে আজ, টিকিট দিল আজ, আর এই টিকিট দিয়ে পরে যে কোন দিন দেখানো যাবে। তার পরও
প্রশ্ন তাহলে রোগ মুক্তি কিভাবে?

Post a Comment