সজল কুমার হোড়,
গুরুদাসপুর: প্রসূতি, অর্থপেডিক্স, সাধারণ এ
তিনটি অপারেশন
থিয়েটার রয়েছে
পৃথক দুইটি
ভবনে। আছে
অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশও। নেই
শুধু অপারেশনের
চিকিৎসক। একারনে
সাত বছর
হলো বন্ধ
ওই কক্ষ
তিনটি। সেখানে
এখন মাকড়শার
বসবাস। কক্ষজুড়েই
বাসা বেধেছে
পোকামাকড়ের দল। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের চিত্র এটি।
এছাড়া ৮ বছর
আগে গাইনি
চিকিৎসক কিছুদিন
চিকিৎসা সেবা
প্রদান করলেও
মূলত এরপর
থেকেই প্রসূতি
কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। আধুনিক
ইসিজি ও
আলট্রসনোগ্রাম মেশিন রয়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ানের
অভাবে মেশিন
দুইটি এখনো
বাক্সবন্দি। এক্স-রে মেশিনটি ১০
বছর ধরে
বিকল হয়ে
পড়ে আছে।
এতে করে
অধিক খরচে
এসব সেবা
পেতে রোগীরা
যাচ্ছে বেসরকারী
হাসপাতালে। বাড়ছে বিড়ম্বনা।
অথচ ২০০৯ সালে
ওই হাসপাতালটি
৩১ শয্যাথেকে
৫০ শয্যায়
উন্নিত করা
হয়েছে। শয্যা
সম্প্রসারনের সাথে প্রসূতি সেবা দানের
লক্ষ্যে পৃথক
একটি আধুনিক
ভবনসহ পুরুষ
ওয়ার্ডের জন্য
আরেকটি নতুন
ভবন নির্মাণ
করা হয়েছে।
সেসময় ওই
ভবন দুটিতেই
নির্মাণ করা
হয়েছে পৃথক
তিনটি আধুনিক
অপারেশন থিয়েটার।
অপারেশনের কাজে ব্যহৃত আধুনিক যন্ত্রাংশ
সরবরাহ করা
হলেও বাড়ানো
হয়নি চিকিৎসার
মান। এনথেশিয়া
ও কনসালটেন্ট
চিকিৎসক না
থাকায় বন্ধ
রয়েছে অপারেশন
কার্যক্রম। নির্মাণের পর হতে অপারেশন
থিয়েটারটি অদ্যবধি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এতে করে
বিকল হওয়ার
পথে সরকারীভাবে
সরবরাহকৃত অধুনিক যন্ত্রাংশ। তাছাড়া চিকিৎসক
সংকটের ফলে
রোগীরা আশানুরুপ
চিকিৎসা সেবা
পাচ্ছে না।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা. আনন্দ
মোহন মন্ডল
বলছেন, হাসপাতালে
প্রয়োজনীয় জনবল অবকাঠামো সংকটের কারনে
এমন অবস্থা
হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক না
থাকায় অপারেশন
করা যাচ্ছেনা।
স্বপ্ল সংখ্যক
চিকিৎসক দিয়েই
কোনমতে বর্হি
বিভাগ, জরুরী
বিভাগ ও
ইনডোর রোগীদের
চিকিৎসা সেবা
প্রদান করা
হচ্ছে। তাছাড়া
আল্ট্রা, ইসিজি
মেশিন আছে।
কিন্তু টেকনিশিয়ান
না থাকায়
সেসব ব্যবহার
করা যাচ্ছে
না। এছাড়া
এক্স-রে
মেশিনটি বিকল
থাকায় তিনি
এক বছরের
মধ্যে ৩
বার এক্স-রে মেশিনের
জন্য উর্ধতন
কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে যানাযায়,
সরকারি বিধি
মোতাবেক একজন
করে মেডিসিন,
সার্জারি, গাইনি, এনথেসিয়া, শিশু রোগ,
অর্থোপেডিক্স, কার্ডিওলজি, চক্ষু রোগ, নাক-কান- গলা
ও ডেন্টাল
সার্জনসহ মোট
১০জন কনসালটেন্টের
মধ্যে একজনও
নেই, ১৮
টি সাধারণ
চিকিৎসকের স্থলে আছেন ১৪জন। এরমধ্যে
৪জন রয়েছেন
ডেপুটিশনে। ২ জন রয়েছেন ইউনিয়ন
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এছাড়া ২০টি কমিউনিটি
ক্লিনিকে কর্মরত
আছেন ১৮জন।
তবে সংকট
দূরীকরণে ৭
জন উপ-সহকারী মেডিকেল
অফিসার হাসপাতালে
চিকিৎসা সেবা
প্রদান করছেন।
১৬ জন
নার্সের মধ্যে
১৪জন থাকলেও
৩য় শ্রেণির
৭৩ জনের
মধ্যে রয়েছেন
৫৫ জন।
৪র্থ শ্রেনির
২৮ জনের
মধ্যে রয়েছেন
১৩ জন।
রোগীরা অভিযোগ করেন,
দীর্ঘ দিন
ধরে হাসপাতালের
প্রসূতি বিভাগে
কোন গাইনি
চিকিৎসক নেই।
একারণে প্রসূতি
রোগীদের সাধারণ
প্রসব ছারা
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব
হয়না। প্রসূতি
রোগীরা বাধ্য
হয়ে অধিক
খরচে বেসরকারী
হাসপাতালে সন্তান জন্মদান করেন। কিন্তু
উপেক্ষাকৃত দরিদ্র শ্রেণির রোগীদের পক্ষে
বেসরকারী হাসপাতালে
চিকিৎসা করানো
সম্ভব হয়না।
ফলে অনেকেই
বাড়িতে সন্তান
জন্মদানের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু
বরণ করেন।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা
নিতে আসা
রোগী করিম
মোল্ল¬া
(৬০), ছালেহা
বেওয়া জানালেন,
তারা মাজার
ব্যাথা জনিত
কারণে চিকিৎসা
নিতে এসেছেন।
কিন্তু তাদের
রোগের চিকিৎসা
দেওয়ার মতো
চিকিৎসক এখানে
নেই। তাই
বাধ্য হয়ে
সাধারণ চিকিৎসক
দেখাবেন।
পায়ের ব্যাথা নিয়ে
আসা শরিফা
আক্তার জানান,
হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন
ধরে অকেজো
হয়ে পরে
থাকায় রোগীদের
বাহির থেকে
অধিক খরচে
এক্স-রে
করাতে হচ্ছে।
এতে ভোগান্তি
বাড়ছে।

Post a Comment