প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোর
সদর হাসপাতালে
নিওনেটাল কেয়ার
ইউনিট চালু
হওয়ায় শিশুদের
আধুনিক চিকিৎসায়
নতুন মাত্রা
যোগ হয়েছে।
এই ইউনিট
চালু হওয়ায়
স্বল্প ওজন
নিয়ে বা
নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া
শিশু মৃত্যু
ঝুঁকি কম
হবে। এই
ইউনিট চালু
হওয়ায় হাইপোথারমিয়ার
আক্রান্ত শিশুদের
জন্য এই
ইউনিটে স্থাপন
করা হয়েছে
অত্যাধুনিক তাপ যন্ত্র মেশিন। প্রকৃতির
নিয়মে নির্ধারিত
সময়ের আগেই
জন্ম হওয়া
বা সঠিক
ওজন না
নিয়ে জন্ম
নেওয়া শিশুর
সঠিক তাপমাত্রা
দিতে অত্যাধুনিক
ওয়ারমার মেসিন
ইনকিউবেটর সহ ফটো থেরাপি মেসিন
বসানো হয়েছে।
এই ইউনিট
চালু হওয়ায়
হাইপোথারমিয়ার আক্রান্ত শিশুদের আধুনিক চিকিৎসা
সেবা নিতে
আর রাজশাহী
বা ঢাকা
সহ বেসরকারী
হাসপাতালগুলোতে যেতে হচ্ছেনা। এজন্য বেশী
অর্থ খরচও
হচ্ছে না।
আগে এই
চিকিৎসার জন্য
শিশুদের অভিভাবকদের
বিপুল অর্থ
খরচ করতে
হয়েছে। এছাড়া
সঠিক তাপমাত্রার
শিশুদের টোটকা
চিকিৎসা হিসেবে
তুলা জড়িয়ে
রাখা হতো।
এতে করে
শিশুদের মৃত্যুর
ঝুঁকি ছিল
বেশী ।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের
একটি অংশে
এই ইউনিট
চালু করা
হয়েছে। ফলে
নবজাতক শিশুরা
চলতি অক্টোবর
মাস থেকে
নাটোর সদর
হাসপাতালে খুব সহজেই উন্নত ও
আধুনিক চিকিৎসা
সেবা পাচ্ছে।
এই ইউনিটে কর্মরত
সিনিয়ার স্টাফ
নার্স আঞ্জুয়ারা
খাতুন ও
জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,নাটোর সদর
হাসপাতালে নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট চালু
হওয়ায় ওজন
কম নিয়ে
জন্ম নেওয়া
শিশুদের মৃত্যুর
ঝুঁকি কমে
গেছে। অত্যাধুনিক
এই ইনকিউবেটর
মেশিনের সাহায্যে
দ্রুতই সঠিক
তাপমাত্রা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এই
ইউনিট চালু
হওয়ার পর
প্রায় প্রতিদিনই
দু’একজন
করে নবজাতককে
ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে সঠিক তাপ
দেওয়া হচ্ছে।
দু’জন
নবজাতক, শিশু
ও কিশোর
রোগ বিশেষজ্ঞ
ডাক্তার মোশারফ
হোসেন ও
ডাক্তার ফজলুল
কাদের সার্বক্ষণিকভাবে
চিকিৎসা সেবা
সহ এই
ইউনিটের তদারকি
করছেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের
আবাসিক মেডিকেল
অফিসার ডাক্তার
আবুল কালাম
আজাদ নবজাতকের
জন্য অত্যাধুনিক
ইউনিট চালুর
সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান,
এই ইউনিটে
১টি অত্যাধুনিক
ইনকিউবেটর মেশিন, ৩টি ফটো থেরাপী
ও ১২
টি ওয়ারমার
মেশিন বসানো
হয়েছে। এই
ইউনিট চালুর
আগে দু’জন শিশু
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
ও দুই
জন সিনিয়র
নার্সকে প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয়েছে।
তারাই এই
ইউনিটে এসব
মেশিনের মাধ্যমে
হাইপোথারইমিয়ার আক্রান্ত শিশুদের সঠিক তাপমাত্রার
চিকিৎসা সেবা
দিচ্ছেন। আগে
এধরনের নবজাতকদের
শরীরের ওজন
বাড়াতে তুলা
দিয়ে জড়িয়ে
রাখা হতো।
এই ইউনিট
চালু হওয়ায়
সঠিক ওজন
না নিয়ে
জন্ম নেওয়া
শিশুদের মৃত্যুর
ঝুঁকি কমে
গেছে।

Post a Comment