নবীউর রহমান পিপলু: পরীক্ষার কক্ষে সবাই বেঞ্চে বসে একমনে খাতায় লিখে যাচ্ছে প্রশ্নের উত্তর। তাদের পাশে বসে দুই হাত ও একটি পা বিহীন শিক্ষার্থী রাসেল মৃধা (১১)। তার একটি পা দিয়েই লিখে চলেছে। তার হাতে কলম নেই, টেবিলের ওপর নেই পরীক্ষার খাতাও। বিশেষ কৌশলে বেঞ্চের ওপর খাতা রেখে সেখানেই বসেই বাম পায়ের দুই আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে মনোযোগ দিয়ে লিখে যাচ্ছে সে।
ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এভাবেই অন্য সবার সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। শারিরীক প্রতিবন্ধিকতা দমাতে পারেনি তাকে । পরীক্ষার প্রথম দিন মায়ের সাথে পরীক্ষা দিতে সিংড়া দমাদমা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে এসেছে রাসেল।
সিংড়া শহরের শোলাকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা। তার দুই হাত ও একটি পা নেই। একটি পা দিয়েই রাসেল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর মনের জোরে বাম পায়ে কলম ধরে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও হাল ছাড়েননি রাসেলের বাবা-মা। তাকে সিংড়ার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন।
রাসেলের মা লাভলী বেগম জানান, তার দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী এই ছেলের বেঁেচ থাকার জন্য একটি কর্মই তাদের আশা।
সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব বিলকিস আকতার বানু জানান, শুধু ছোট্ট একটি পা দিয়ে পরীক্ষা দেয়াটা সকলকে বিস্মিত করে তুলেছে। তার জন্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধাসহ অতিরিক্ত সময়ও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, এটা একটা আশ্চর্যজনক বিষয়। ছেলেটির হাত ও পা না থাকা সত্বেও ছোট্ট একটি পা দিয়ে সুন্দর ভাবে লিখে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার অদম্য স্পৃহা সকলকে মুগ্ধ করেছে। রাসেলের সফলতা কামনা করেন তিনি।
ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এভাবেই অন্য সবার সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। শারিরীক প্রতিবন্ধিকতা দমাতে পারেনি তাকে । পরীক্ষার প্রথম দিন মায়ের সাথে পরীক্ষা দিতে সিংড়া দমাদমা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে এসেছে রাসেল।
সিংড়া শহরের শোলাকুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা। তার দুই হাত ও একটি পা নেই। একটি পা দিয়েই রাসেল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর মনের জোরে বাম পায়ে কলম ধরে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও হাল ছাড়েননি রাসেলের বাবা-মা। তাকে সিংড়ার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন।
রাসেলের মা লাভলী বেগম জানান, তার দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী এই ছেলের বেঁেচ থাকার জন্য একটি কর্মই তাদের আশা।
সিংড়া দমদমা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব বিলকিস আকতার বানু জানান, শুধু ছোট্ট একটি পা দিয়ে পরীক্ষা দেয়াটা সকলকে বিস্মিত করে তুলেছে। তার জন্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধাসহ অতিরিক্ত সময়ও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, এটা একটা আশ্চর্যজনক বিষয়। ছেলেটির হাত ও পা না থাকা সত্বেও ছোট্ট একটি পা দিয়ে সুন্দর ভাবে লিখে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার অদম্য স্পৃহা সকলকে মুগ্ধ করেছে। রাসেলের সফলতা কামনা করেন তিনি।

Post a Comment