গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের
গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিলের বেশানী নদীতে
সোঁতিজাল পেতে
মাছ ধরাকে
কেন্দ্র করে
দুই পক্ষের
সংঘর্ষে সাতজন
আহত হয়েছে।
খুবজীপুর ইউনিয়নের
বিলশা বাজারে
গতকাল মঙ্গলবার
সকাল ১০টা
থেকে সাড়ে
১১টা পর্যন্ত
সংঘর্ষ চলে।
এত নেতৃত্ব দেন
স্থানীয় আ.লীগ নেতা
ফিরোজ হোসেন
ও স্থানীয়
ইউপি সদস্য
ময়েন উদ্দিন।
পুলিশ গিয়ে
পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয়
সুত্রে জানাগেছে,
বিলশা গ্রামের
উত্তরে বেশানী
নদীতে ফি-বছরই সোঁতিজাল
পেতে ময়েন
মেম্বার মাছ
ধরতেন। এবার
আ.লীগ
নেতা ফিরোজ
হোসেন ইমান
ফকির নামে
এক বিএনপি
নেতাকে নিয়ে
একই স্থানে
সোঁতিজাল পেতে
মাছ ধরছেন।
এনিয়ে অনেকদিন
ধরে তাদের
মধ্যে জিঘাংসা
চলে আসছে।
গতকাল সকালে ইউপি সদস্য
ময়েন বিলশা
বাজারে এলে
ফিরোজ হোসেনের
সাথে বাকতিন্ডা
শুরু হয়।
এক পর্যায়ে
ময়েন মেম্বারকে
ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেয় ফিরোজ হোসেন।
পরে ময়েনের
লোকজন এসে
ফিরোজকে ধাওয়া
করে। ফিরোজের
ছোট ভাই
ফারুক এগিয়ে
এলে তাকে
মারধর করে
ময়েনের লোকজন।
পরে ফিরোজ
হোসেন দলবদ্ধ
হয়ে ময়েনের
লোকজনকে ধাওয়া
করে। প্রায়
ঘন্টাব্যাপী চলে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ
ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার
ঘটনা। সংঘর্ষে
ময়েন গ্রুপের
ছায়না (৪৫),
শাওন (২২),
মিলন (২৭)
এবং প্রতিপক্ষের
ফিরোজের ছোটভাই
ফারুক হোসেন
(৩০) ও
আশরাফসহ (৪০)
আরো দুইজন
আহত হয়।
আহতদের মধ্যে
আশরাফকে গুরুদাসপুর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের
প্রাথমিক চিকিৎসা
দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে ফিরোজ হোসেনের
মোবাইল ফোনে
যোগাযোগ করেও
বক্তব্য নেওয়া
সম্ভব হয়নি।
তবে তাঁর
চাচাতো ভাই
খুবজীপুর ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান
মনিরুল ইসলাম
সত্যতা নিশ্চিত
করে বলেন,
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে
মীমাংসা করা
হয়েছে।
ইউপি সদস্য ময়েন
আলী বলেন,
ফিরোজ হোসেন
খুবজীপুর ইউনিয়ন
বিএনপির সাবেক
সভাপতি ইমান
ফকিরকে সাথে
নিয়ে প্রভাব
খাটিয়ে সোঁতিজাল
পেতে মাছ
শিকার করছেন।
প্রশাসন ও
তাদের সোঁতিজাল
উচ্ছেদ করছেনা।
গুরুদাসপুর থনার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস
বলেন, ঘটনাস্থলে
পুলিশ পাঠানো
হয়েছিল। পরে
সাংসদের ভাতিজা
ইউপি চেয়ারম্যান
মনিরুল ইসলামের
তত্ত্বাবধানে বিষয়টি সুরাহ হয়। কোন
পক্ষই থানায়
অভিযোগ দেয়নি

Post a Comment