মোঃ কামাল হোসেন: নাটোর জেলার
নব গঠিত নলডাঙ্গা উপজেলার আওয়ামী লীগ যুবলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নেতা কর্মীদের
মধ্যে নানা রকম আলোচনা ও অসন্তোষ চলছে। নাটোর জেলার পাড়া-মহল্লার চা দোকান থেকে শুরু
করে বিষয়টি নিয়ে সমান তালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন
সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুর রহমান লিটন নামের যুবলীগ নেতার গ্রেফতারের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবর রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোর সদর আসনের
এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের ছবি ব্যবহার করে এবং তৌহিদুর রহমান লিটনকে আওয়ামী লীগ যুবলীগ
নলডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ “নলডাঙ্গা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ”র
ব্যানারে তার মুক্তি দাবী করে নাটোর জুড়ে পোস্টার দেওয়ালে দেওয়ালে লাগানোর পর থেকে
এই বিতর্কের শুরু। গত কাল ১৬ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিনে নাটোর শহর ঘুরে দেখা যায় যে,
খোদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের দেওয়ালে লিটনের পোস্টার লাগানো রয়েছে। এছাড়া নাটোর
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জর্জ কোর্ট ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দেওয়াল সহ শহরের অনেক
জায়গায় এই পোস্টার লাগানো রয়েছে। শহরের অনেক লোকের সাথে কথা বলে যায় যে, এই পোস্টার
যখন লাগানো হয় তখন পুরো নাটোর জুড়ে অনেক পোস্টার লাগানো হয়। পরে এগুলো প্রাকৃতিক নিয়মে
তা অন্য পোস্টারের নিচে ঢাকা পড়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ সাধারণ
সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নকুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নলডাঙ্গা
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রেজাউল করিম (রেজা) জানান, লিটন প্রকৃতপক্ষে আমার কমিটির ২ নং
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কিন্তু তার আতœীয়রা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পোস্টার লাগিয়েছে।
বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এবিষয়ে তার আতœীয়দের সাথে কথা বলেছি পোস্টার টি সংশোধন করতে।
তবে সংশোধন হল কিনা জানিনা। আতœীয় বলতে কে? জানতে চাইলে লিটনের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত
নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আহবায়ক আকরাম
হোসেন শিমুলের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। শিমুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পোস্টার
কে লাগিয়েছে তা তিনি জানেন না এই মুহুর্তে তিনি ঢাকায় আছেন। সেই সাথে লিটনের স্ত্রীর
সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার পরামর্শ দেন। লিটনের স্ত্রী ও লনডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের মহিলা
বিষয়ক সম্পাদিকা শিরিন আক্তার বলেন, লিটন এলাকায় খুবই জনপ্রিয় তাই সে ষড়যন্ত্রের শিকার।
সে গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা ব্যস্ত থাকায়, কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে তা আমরা জানি
না। আমাদেরকে হেয় করার জন্য কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে লিটনকে “সাধারণ সম্পাদক” হিসাবে
উল্লেখ করে পোস্টার লাগিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে থানায় জিডি অথবা পার্টিও জেলা হাই
কমান্ডকে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে শিরিন আক্তার না সূচক উত্তর দেন। এবিষয়ে জানতে
চাইলে নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব বলেন, জেলা
যুবলীগের আগামী সভায় এবিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে
নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন, জননেত্রী
শেখ হাসিনার ঘোষণা হল, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিরোধীতা করলে বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগ ও অঙ্গসংগঠণে তার কোন পদ থাকবে না। সেই হিসাবে দলের বিরুদ্ধে বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নে
বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান নির্বাচন করায় সে এখন আর যুবলীগের কেউ নয়।

Post a Comment