মোঃ কামাল হোসেন:
নাটোর জেলার
সবচেয়ে হাসপাতাল
নাটোর সদর
আধুনিক হাসপাতাল।
হতে পারতো
এই হাসপাতালটি
সাধারণ মানুষের
নির্ভর করার
প্রতীক কিন্তু
নানা রকম
সমস্যার কারনে
এটি এখন
সবার কাছে
দূর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িছে। এর
মধ্যে গত
রোববার ও
মঙ্গলবার নাটোর
থেকে প্রকাশিত
ও বহুল
প্রচারিত “দৈনিক প্রান্তজন” পত্রিকায় “চক্ষু
বিভাগে ডাক্তার
নাই তবু
টিকেট বিক্রি”
এবং “নোরাং
ও দুর্গন্ধে
অতিষ্ঠ রোগীরা”
শিরোনামে সংবাদ
প্রকশিত হয়।
এদিকে গতকাল
১৫ নভেম্বর
মঙ্গলবার সকালে
উক্ত বিভাগের
সামনে গেলে
দেখা যায়,
আট্রাসনোগ্রাফী মেশিন নষ্ট বলে রোগীদের
ফিরিয়ে দেওয়া
হচ্ছে এবং
বাহিরে থেকে
টেষ্ট করার
জন্য বলা
হচ্ছে। আবার
একটির বেশি
প্রশ্ন করলে
সবার সাথে
দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসা
নিতে আসা
সাধারণ মানুষগুলো
যেন তাদের
প্রজা বা
দাস। হায়!
কি দুর্ভাগ্য! দেশের
মালিক সাধারণ
জনগণ, যাদেরকে
সরকারী সেবা
নিতে এসে
প্রজায় পরিণত
হতে হচ্ছে
তাদেরই করের
টাকায় বেতনভুক্ত
কর্মচারীদের হাতে! আমরাও গত কয়েক
মাস যাবত
আট্রাসনোগ্রাফী বিভাগে মেশিন নষ্ট ব্যাপার
টি লক্ষ্য
করছিলাম এবং
সেই সাথে
উক্ত বিভাগের
লোকদের অনৈতিক
লেনদেনের চিত্র
ও বেসরকারী
ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর দালালদের কার্যক্রমের চিত্র
ধারণ করছিলাম।
প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক
সেন্টারগুলোর রিপোর্টের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে
ডাক্তারদের মধ্যেই রয়েছে মতপার্থক্য। এখানে
কেচোঁ খুড়তে
সাপ বেড়িয়ে
আসার উপক্রম
হয়েছে। অন্য
একদিন এবিষয়টি
পাঠকদের সামনে
বিস্তারিত প্রমাণ সহ উপস্থাপণ করা
হবে। নাটোর
সদর আধুনিক
হাসপাতালের আট্রাসনোগ্রাফী মেশিনটি নষ্ট কেন
তা জানতে
নাটোর সদর
আধুনিক হাসপাতালের
প্রধান সহকারী
স্বপ্না ঠাকুরকে
ফোন দিলেও
তিনি ফোন
ধরেননি আবার
পরে কলব্যাকও
করেননি। এরপর
আমরা এবিষয়ে
জানতে চাই
নাটোর সদর
আধুনিক হাসপাতালের
আবাসিক চিকিৎসক
(আর এম
ও) আবুল
কালাম আজাদের
কাছে। তিনি
বলেন, গত
জুন মাস
থেকে আট্রাসনোগ্রাফী
মেশিন নষ্ট।
মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে দেখে
গেছেন এবং
তারা বলেছেন
মাদারবোর্ড নষ্ট। তিনি আরো বলেন,
আমি বগুড়ায়
আছি। তিনি
সেই সাথে
পরামর্শ দেন
সিভিল সার্জনের
সাথে কথা
বলার জন্য।
সিভিল সার্জন
জানান, আট্রাসনোগ্রাফী
মেশিন নষ্ট
হওয়ার বিষয়টি
মন্ত্রনালকে জানানো হয়েছে। কবে মেশিনটি
ঠিক হবে
তা মন্ত্রনালয়ের
ব্যাপার।

Post a Comment