মোঃ
কামাল হোসেন:
গতকাল ১৪
নভেম্বর সোমরার
১১ টায়
নাটোর সদর
আধুনিক হাসপাতাল
গেইট পেরিয়ে
ভিতরে ঢুকতে
চোখে পড়ল
নানা রকম
কাগজ সহ
নোংরা আর্বজনা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পড়ে আছে।
সেইসাথে হাসপাতাল
গেইটের ভিতরে
সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে থাকা এ্যাম্বোলেন্স ও
অটো রিকসা
জায়গা টিকে
টার্মিনালে রুপ দিয়েছে। চারিদিকে লোকে
লোকারণ্য। ভিড় ঠেলে হাসপাতালের মূলভবনে
প্রবেশ করতেই
জরুরী বিভাগ
পেরিয়ে ওয়াডের্র
দিকে যেতে
দেখা গেল
সিঁড়ির
উল্টো দিকে
বিশাল খোলা
জায়গা যেখানে
ফুলের বাগান
থাকার কথা
সেখানে দড়ি
টাঙ্গিয়ে কাপড়
শুকাতে দেয়া
হয়েছে। যথারীতি
ক্যামেরায় ছবি তোলা হল। পাশের
ড্রেনগুলো মানুষের কফ-থুতু ও
পানের পিকে
এতো নোংরা
যা দেখলে
সুস্থ্য মানুষেরও
ঘিন্নায় বমি
আসবে। আরো
সামনে যেতেই
নিচতলায় পশ্চিম
পাশে মহিলা
ওয়ার্ড আর
পূর্ব দিকে
প্রসূতি ওয়ার্ড।
মহিলা ওয়ার্ডে
দরজায় গিয়ে
দাড়াতে মনে
হল কোন
মাছ বাজারে
এসে পড়েছি।
বেডে ও
নিচে রোগীর
ছড়াছড়ি কোথায়ও
খালি নাই।
নোংরা ফ্লোরে
শুয়ে আছে
অনেক রোগী।
দরজায় দাড়িয়ে
দেখা গেল
বেশ কয়েকটি
বিড়াল ছুটোছুটি
করছে। ছবি
তুলতে চাইলাম
কিন্তু বিড়ালের
গতির সাথে
আমার ক্যামেরা
পেরে উঠলো
না। ওয়ার্ডে
ভিতরে শেষ
মাথায় গিয়ে
একটি ছাগল
পাওয়া গেল।
ছাগলটি রোগীদের
জন্য রাখা
ময়লার বল
থেকে খাবার
খাওয়ায় মশগুল।
এবার আর
ছবি তুলতে
কোন সমস্যা
হল না।
সেখানে টয়লেটের
গন্ধে বেশিক্ষণ
দাড়িয়ে থাকা
সম্ভব হল
না। পাশ
থেকে একজন
বললেন টয়লেট-বাথরুম এতো
নোরাং যে
ভাল কোন
মানুষ টয়লেট
থেকে ফিরে
এসে বেশ
কয়েক দিন
কোন খাবার
খেতে পারবেন
না। তাকে
বললাম কয়েকটি
ছবি এনে
দিতে কয়েকটি
ছবি এনে
দিলেন তিনি।
এসময় রোগীর
সাথে এক
মধ্য মহিলা
বললেন রাতে
মশার অত্যাচারে
থাকা যায়না
আবার কয়েল
জ্বালনো নিষেধ।
তার উপর
রাতে রোগী
এসে ভরে
যায় শোয়া
তো দুরের
কথা বসার
জায়গা পাওয়া
না। এর
পরে সিঁড়ি
দিয়ে উপরে
উঠতে সেই
একই চিত্র।
পুরুষ ওয়াডের্র
টয়লেটে গিয়ে
দেখা গেল
দরজার অবস্থা
ভাল না
মেঝেতে পানি
পড়ে ভরে
আছে পা
দেওয়ার জায়গা
নাই। পা
পিচলে পড়ে
যাওয়ার ভয়ে
ভয়ে হাটতে
হল। এরমধ্যে
আবার দেখি
টয়লেটে বদনা
নাই।
চারিদিকে নোংরা আর গন্ধ। প্রায়
পুরো হাসপাতাল
জুড়ে একই
চিত্র।

Post a Comment