প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন
এলাকায় নির্মানাধীন
ক্লিনিকে চাকুরীর
প্রলোভন দিয়ে
ডেকে নিয়ে
পিটিয়ে ও
পুড়িয়ে জুবাইদুল
ইসলাম রাজু
(১৭) নামে
এক কলেজছাত্রকে
হত্যার অভিযোগ
উঠেছে। রাজু
উপজেলার মহিষভাঙ্গা
গ্রামের সখের
আলী প্রামাণিকের
ছেলে এবং
বনপাড়া কলেজের
বিএম শাখার
একাদশ শ্রেণীর
ছাত্র।
নিহতের মামা আব্দুল
মালেক বলেন,
রাজু কলেজের
পড়ার পাশাপাশি
উপজেলায় ওসমানের
দোকানে কম্পিউটার
কম্পোজের কাজ
করতো। গত
বুধবার
সকালে (১৯ অক্টোবর) তাকে ক্লিনিকে
ম্যানেজার পদে চাকুরী দেওয়া হবে
বলে কয়েন
গ্রামের খলিলুর
রহমানের ছেলে
মনোয়ার হোসেন
রাজুকে কয়েন
ওই ক্লিনিকে
ডেকে নিয়ে
যায়। পরে
তাকে দগ্ধ
ও অচেতন
অবস্থায় ভ্যানগাড়ীতে
করে বনপাড়া
পাটোয়ারী ক্লিনিকে
ভর্তি করিয়ে
তারা চলে
যায়। খবর
পেয়ে রাজুর
স্বজনরা তাকে
রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের
বার্ণ ইউনিটে
ভর্তি করেন।
সেখানে দুই
দিন পর
তার চেতনা
ফিরে ফেলে
তাকে রাজু
জানিয়েছে নির্মানাধীন
ক্লিনিকে যাওয়ার
পর ৫/৭ জন লোক তাকে
মুখ-চোখ,
হাত-পা
বেঁধে পিটাতে
শুরু করে
(যা মোবাইল
ফোনে রেকোডিং
আছে)।
এরপর তার
আর কিছুই
মনে নেই।
এরপর সেখানেই
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে
রাজু মারা
যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কয়েন গ্রামের
একজন জানান,
নির্মাণাধীন ক্লিনিকের উপরদিয়ে ৩৩ হাজার
ভোল্টের বিদ্যুতের
তার গেছে।
রাজু ছাদে
উঠে ক্লিনিক
দেখতে গিয়ে
বিদ্যুতায়িত হয়ে দগ্ধ হয়েছিল।
নিহতের অপর মামা
আব্দুল খালেক
বলেন, রাজুকে
পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে
বলে আমরা
মনে করি।
তার লাশ
ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে, রিপোর্ট পেলেই
আসল সত্য
জানতে পারবো।
বৈদ্যুতিক শক লাগার বিষয়ে তিি
বলেন, রাজুর
গায়ে বিদ্যুতের
আগুনে পোড়া
বলে মনে
হয়নি।
এ বিষয়ে কথা
বলতে মনোয়ার
হোসেনের সাথে
তার মোবাইলে
(০১৭২৫-৮৬৯১৫৪)
ফোনে কল
দিলে রিসিভ
করে শুধু
হ্যালো হ্যালো
বলে বার
বার কেটে
দেন। ফলে
তার কোন
মন্তব্য পাওয়া
যায় নাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি)
শাহরিয়ার খান
বলেন, এ
বিষয়ে কোন
অভিযোগ পাওয়া
যায় নাই।
তবে প্রাথমিক
ভাবে খোঁজ
নিয়ে জানা
গেছে বৈদ্যুতিক
শর্টলেগে দগ্ধ
হয়ে রাজু
আহত হয়েছিলো।
এরপরও অভিযোগ
পেলে তদন্ত
করে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

Post a Comment