Halloween Costume ideas 2015

গুরুদাসপরে একটি সেতুর জন্য ৪৪ বছরের অপেক্ষা


সজল কুমার হোড়, গুরুদাসপুরনৌকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার করে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ। আত্রাই নদীর সাবগাড়ী-বিলহড়িবাড়ি পয়েন্টে একটি সেতু না থাকায় ৪৪ বছর ধরে এভাবেই দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ২০ গ্রামের মানুষ।
খেয়া নৌকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধীক মানুষ পারাপার হয়। নদীর উত্তরপারে, মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসা সাবগাড়ী হাট রয়েছে। দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে প্রাথমিক স্কুল, মাদ্রাসা বিলহরিবাড়ি কবরস্থান।
ওই নদী পার হয়ে দুই পাড়ের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। এছাড়া দক্ষিণপাড়ের মানুষের জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী মাধ্যমও এটি। সাদেক মাঝি নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি খেয়াঘাটটি ইজারা নিয়েছেন। নৌকায় পার হতে বাৎসরিক ভাবে এখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সদস্য অনুপাতে অধা মণ থেকে ১মণ হাড়ে ধান নেওয়া হয়। এছাড়া দূরের এলাকা থেকে আসা মানুষের ক্ষেত্রে বাই সাইকেল টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা মানুষ পারাপারের ক্ষেত্রে টাকা করে নেওয়া হয়। 
স্থানীয়রা জানান, নদীটির দক্ষিণপাশে দশটি আর উত্তর পাশে ১২ টি গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকার ২৫-৩০ হাজার মানুষ চলনবিলে উৎপাদিত ফসল নিয়ে অতিকষ্টে ওই নদী পারাপার হয়ে থাকে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ী- সাবগাড়ী হাট সংলগ্ন আত্রাই নদীর এই পয়েন্ট দিয়ে যুগ যুগ ধরে এভাবেই দূর্ভোগ নিয়ে পারাপার হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মানের আশ্বাস দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু আশ্বাসেই শেষ, এলাকাবাসীর ভাগ্যেন্নোয়নে ৪৪ বছরেও নির্মীত হয়নি সেতু। 
সাবগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আরিফুল, সান্তা, মরিয়ম, আঁখি শাপলা জানায়, নৌকায় পার হতে ভয় লাগে। তবুও স্কুলে যাওয়ার জন্য পার হতে হয়। তাছাড়া অনেক মানুষ গাদাগাদি করে নৌকায় ওঠে। একারণে বেশিরভাগ সময় স্কুলে যেতে দেরি হয়। 
হাট-সাবগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াছকুরুনী বলেন, নদীটিতে সেতু না থাকায় বর্ষাকালে খেয়া নৌকা আর শুস্ক মওসুমে বাঁশের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শত শত ছাত্র-ছাত্রী পারাপার করে। কিছুদিন আগে নৌকা থেকে পরে এক ছাত্র মারতœ আহত হয়। বর্ষায় খেয়া নৌকা আর শুকনায় বাঁশের সেতুর ওপর ভর করে চলছে এসব গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা
ইজারাদার সাদেক মাঝি বলেন, এই ঘাট দিয়ে বর্ষায় পারাপারের জন্য খেয়া নৌকা থাকে। শুস্ক মওসুমে পানি কমে যায়। কোমর পানিতে নৌকা চলেনা। তখন যোগাযোগ রক্ষার্থে বাঁশের সেতু ব্যবহার করা হয়। সারাদিন নৌকায় পারাপার করা হয়। একারণে পারিশ্রমিক হিসাবে পারপার হওয়া মানুষের কাছ থেকে টাক নেওয়া হয়।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সেতু না থাকায় নৌকা করেই নদী পাড় হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ ২০ গ্রামের মানুষ পারাপার হন। ভোগান্তি লাঘবের জন্য এই ঘাটে একটি সেতুর দাবী রয়েছে এলাকাবাসীর।

নদীর উত্তর পাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ চলনবিল। ওই এলাকার মানুষ আত্রাই নদী পার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাছাড়া কৃষকদের পন্য পরিবহনেও বাড়ে অসহোনীয় ভোগান্তি। বিশেষ করে ইরি-বোরো মওসুমে ধান বহনকারী গরু মহিসের গাড়ি পারাপারে দুর্ভোগ দেখা দেয়। তাছাড়া প্রসূতি অসুস্থরা সময়মতো চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget