Halloween Costume ideas 2015

নাটোরে বিপাকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা


প্রান্তজন রিপোর্ট: গতবারের তুলনায় এবার কম দামে চামড়া কিনেও নাটোরের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। একেতো লবনের চড়া মূল্য, আড়তে চাহিদা মত চামড়া বিক্রি না হওয়া আবার যেটুকু বিক্রি হয়েছে, তার নগদ দাম না পেয়ে চরম হতাশা আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা কেনা চামড়াগুলো বাজারজাত করতে পারবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদুল আজহার দিনে গ্রামাঞ্চল থেকে চামড়া কিনে অনেক ব্যবসায়ী এখনও বিক্রি করতে পারেনি। চামড়া বিক্রি সেভাবে শুরু না হওয়ায় আড়তে এনে লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রেখেছেন। ঢাকার ব্যবসায়ী আসলেই তা বিক্রি করে খালাস করবেন। তবে আড়তদার স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীকিছু কিছু চামড়া কিনেছেন, তাতে নগদ অর্থ জোটেনি।
তারা বলেন, গত বারের অনেক বকেয়া পাওনা এখনও তারা পাননি। শুধু মাত্র ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ধার কর্জ করে চামড়া কিনেছেন। পুঁজি সংকটের কারনে অনেকেই চাহিদা মাফিক চামড়া কিনতে পারেননি। যতটুক কিনেছেন তা বাজারজাতও হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, আড়তদার স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দামে ধস নামিয়েছেন এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরকে সর্বস্বান্ত করছেন। তারা চামড়া কিনলেও নগদ অর্থ দিচ্ছেন না। ফলে লোকশানে পড়ছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।
তবে এসব আড়তদার স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা সরকার টেনারি মালিকদের বেঁধে  দেওয়া দামেই চামড়া কিনছেন। সরকার বা ট্যানারি মালিকরা  দাম কম নির্ধারণ করে থাকলে এই দায়-দায়িত্ব তাদের। তাছাড়া গত বছরের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করেননি ট্যানারি মালিকরাও। শুধুমাত্র ২০ শতাংশ অর্থ তারা  ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে পেয়েছেন। তাই নিজেরাও পুঁজি সংকটের কারণে বাঁকিতেই চামড়া কিনে মজুদ করছেন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, এবার তারা গরু ১৫ থেকে ১৮ টাকা, খাসি ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং ভেড়া বা বকরীর চামড়া ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় কিনেছেন। গত বারের তুলনায় এবার চামড়া বাজার অনেক নিম্নমুখী হলেও ক্রেতার বড় অভাব।
রাজশাহীর বেলপুকুর থেকে আসা মৌসুমী ব্যবসায়ী হাসান আলী জানান, লবনের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি পিচ খাসি চামড়া ৭০/৮০ টাকায় কিনে প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ পড়ছে ১২০/১৫০ টাকা। বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় একই দামে।
পাবনার চাটমোহর এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, এক হাজার পিচ খাসির চামড়া গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বাঁকিতে বিক্রি করেছেন। কবে টাকা পাবেন এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
একই অভিযোগ চুয়াডাঙ্গার সাহেব আলী, ঝিনাইদহের তৈয়বুর রহমান, দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ সহ আরো অনেকের। তারা জানান, গত বারের পাওনা টাকা নিতে ঈদের দুই আগে এসে ধর্ণা দিয়েও কোন টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। কোন পথ না পেয়ে এবারও ধার- দেনা করে চামড়া কিনেছেন। চামড়া বিক্রি কওে টাকা না পেলে কিংবা চামড়া বিক্রি না হলে তাদের পথে বসতে হবে।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ জানান, তারা কোনও সিন্ডিকেট করে চামড়া কিনছেন না। সরকার ট্যানারি মালিকদের বেঁধে  দেওয়া দামেই চামড়া কিনছেন।
ট্যানারী মালিকরা এখনও চামড়া কেনা শুরু না করায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারা চামড়া কেনা শুরু করলেই এসব সমস্যা দুর হবে। আশা করি দুএকদিনের মধ্যেই ট্যানারী মালিকরা এসে যাবেন। তিনি বলেন, ভারতে চামড়া পাচারের কোন সম্ভাবনা নেই

নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ‘কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে যেন পাচার না হয়  সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।

Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget