প্রান্তজন রিপোর্ট: ফসলের
মাঠে ক্ষতিকারক
ও উপকারী
পোকা সনাক্ত
করতে নাটোরে
কৃষকদের আলোক
ফাঁদ স্থাপনের
পরামর্শ দেওয়া
হচ্ছে। কৃষি
বিভাগের এই
নতুন প্রযুক্তি
ব্যবহারে কৃষকরাও
উৎসাহিত হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ
জানিয়েছেন, এই আলোক ফাঁদ ব্যবহারের
ফলে পোকার
উপস্থিতি বিবেচনা
করেই কেবল
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন
কৃষকরা। কেননা,
একটি ফসলে
উপকারী ও
ক্ষতিকারক উভয় পোকাই বিরাজ করে।
সেগুলো সনাক্ত
করার পর
ব্যবস্থা গ্রহণ
করলে ফসলের
অবস্থা যেমন
ভাল থাকবে,
কৃষকরাও আর্থিক
ভাবে সাশ্রয়ী
হবেন। পরিবেশেরও
কোন ক্ষতি
হবে না।
কিন্তু সেটা না
বুঝে কৃষকরা
অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে বরাবরই অতিমাত্রায় কীটণাশক
ব্যবহার করে
আসছেন। এতে
ফসলের উপকারী
পোকাগুলো মরে
যায় এবং
চারপাশের পরিবেশ
বিনষ্ট হওয়াসহ
আর্থিক খরচটা
বেড়ে যায়।
এই অবস্থা
থেকে উত্তোরণ
ঘটাতেই কৃষি
বিভাগ এই
পদ্ধতি ব্যবহারে
কৃষকদের পরামশসহ
সতর্কবানী দেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যার পর
বিভিন্ন মাঠে
গিয়ে কৃষকদের
হাতে কলমে
প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ আলোক ফাঁদের পর্যবেক্ষণ
ফলাফলও দেখানো
হচ্ছে। নলডাঙ্গা
কৃষি অফিসার
আমিরুল ইসলাম
এসব তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
সুত্র জানায়,
এই আলোক
ফাঁদ তৈরীতে
একটি সার্জার
লাইট, মাটি
অথবা ষ্টিলের
পাত্র, পরিমান
মত পানি
ও ডিটারজেন্ট
পাউডার প্রয়োজন
হয়। এতে
বাড়তি কোন
খরচ হয়
না এবং
পরিবেশ বান্ধব।
ফলে কৃষকরা
এই পদ্ধতি
ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ
হচ্ছেন। এদিকে
সরজমিনে সোমবার
(১৯ সেপ্টেম্বর)
সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা
উপজেলার কুটরীপাড়া
ও হলুদঘর
মাঠে গিয়ে
দেখা যায়,
আলোক ফাঁদে
বেশ কিছু
উপকারী ও
ক্ষতিকারক পোকা ধরা পড়েছে। এরমধ্যে
ক্ষতিকারক পোকাই বেশি, তবে উপকারীর
পোকার সংখ্যাও
কম নয়।
কুটরীপাড়া মাঠে তৈরী করা আলোক
ফাঁদের ধরা
পড়া পোকার
একটি পরিসংখ্যানে
দেখা গেছে,
সেখানে উপকারী
পোকা বোলতা
১টি, ড্যামসেল
ফ্লাই ২টি
সবুজ ঘাস
ফড়িং ৩টি
এবং ক্ষতিকারক
পোকা মাজরা
পোকার মথ
২টি, পাতা
মোড়ানো পোকার
মথ ৩টি
ও সবুজ
পাতা ফড়িং
রয়েছে ১০টি।
এসব ফাঁদ স্থাপন
ও পর্যবেক্ষনের
সময় নলডাঙ্গা
উপজেলা কৃষি
অফিসার আমিরুল
ইসলাম,
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার
(এসএপিপিও) প্রফুল্ল কুমার সরকার, উপসহকারী
কৃষি অফিসার(এসএএও) মাহফুজুর
রহমান, ৪
জন গণমাধ্যম
কর্মীসহ প্রায়
অর্ধশতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় কৃষক ফজলার
রহমান জানান,
আগে বুঝে,
না বুঝে
ফসলে কীটনাশক
প্রয়োগ করেছেন।
এখন এই
পদ্ধতি সর্ম্পকে
তার ধারণা
হয়েছে। প্রতিটি
ফসলেই তিনি
এই পদ্ধতি
অনুসরণ করার
পরই কেবর
পরবর্তী ব্যবস্থা
গ্রহণ করবেন।
হলুদঘর গ্রামের
কৃষক লুৎফর
রহমান জানান,
এবার তিনি
৬ বিঘা
জমিতে আউস
ও ৪
বিঘা জমিতে
আমন ধানের
আবাদ করেছেন।
কৃষি বিভাগের
পরামর্শ অনুযায়ী
ধান পাকার
আগ মুহুর্তে
এই পদ্ধতি
অনুসরন করে
ভাল ফল
পেয়েছেন। তিনি
বলেন, সকল
কৃষককেই পরিবেশ
বান্ধব এই
পদ্ধতি অনুসরন
করেই ফসল
চাষাবাদ করা
উচিত। একই
দাবী আরো
অনেক কৃষকের।
নাটোর জেলা
কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ আলহাজ
উদ্দিন আহম্মেদ
জানান, এই
পদ্ধতি অনুসরণ
করতে কৃষকদেরকে
উদ্ধুদ্ধ করা
হচ্ছে। ইতিমধ্যে
আলোক ফাঁদ
স্থাপন করে
কৃষকদের পর্যক্ষেন
ফলাফল দেখানোর
জন্য জেলার
৭টি উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তাদের
নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।

Post a Comment