প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
সিংড়া উপজেলার
আত্রাই নদীতে
দেওয়া দুইটি
অবৈধ সোঁতি
জাল অপসারণসহ
অবৈধ স্থাপনা
উচ্ছেদ করেছেন
ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় নিষিদ্ধ কারেন্ট
জালসহ তিন
ব্যবসায়ীকে আটক করে অর্থদ- দেওয়া
হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা
থেকে উপজেলা
সহকারী কমিশনার
(ভূমি) জাহিদুল
ইসলামের নেতৃত্বে
ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ সোঁতি জাল
অপসারণসহ অবৈধ
স্থাপনা উচ্ছেদ
অভিযান শুরু
করেন। অভিযানের
শুরুতেই পৌর
এলাকার গোডাউনপাড়া
এলাকায় আত্রাই
নদীতে নৌকা
করে নিষিদ্ধ
কারেন্ট জাল
নিয়ে বাজারে
বিক্রি করতে
আসার সময়
তিন জন
ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময়
প্রায় দেড়
লাখ টাকা
মূল্যের ২২
বস্তা জব্দ
করে তা
ধ্বংস করা
হয়। আটক
ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার
টাকা করে
মোট ১৫
হাজার টাকা
অর্থদন্ড দেওয়া
হয়। দ-প্রাপ্তরা হলেন,
সিংড়া এলাকার
জাল ব্যবসায়ী
বিরাজ উদ্দিন
(৫৫), মুসলেম
উদ্দিন (৫০)
ও আব্দুর
রশিদ (২৫)।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত
উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর
ও কোতয়াবাড়ি
এলাকায় আত্রাই
নদীতে
দুইটি অবৈধ সোঁতি জাল ও
স্থাপনা অপসারন
করে তা
ধ্বংস করেন।
এসময় উপজেলা
মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী, থানার
উপ পরিদর্শক
(এসআই) দেবব্রত
উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সুত্র
জানান, আত্রাই,
গুরনই, বারনই
নদীসহ চলনবিলের
বিভিন্ন খালে
অন্তত ৫০টির
বেশি অবৈধ
সোঁতি জাল
বসিয়ে পানি
প্রবাহ বাধাগ্রস্ত
করে মাছ
শিকার করা
হচ্ছে। এসব
সোঁতিজালে নানা প্রজাতির মা মাছসহ
ছোট-বড়
মাছ নির্বিচারে
ধরা পড়ছে।
তাদের ভাষ্যমতে,
প্রতিদিন গড়ে
একটি সোঁতিজাল
দিয়ে ৫
থেকে ৮
মণ পর্যন্ত
বিভিন্ন প্রজাতির
মাছ ধরা
হয়ে থাকে।
এসব মাছের
দাম কমপক্ষে
৪ লাখ
টাকা। গত
প্রায় দুই
মাস ধরে
চলছে এভাবে
মাছ শিকার।
একেকটি সোঁতিজাল
পাততে ৫
লাখ থেকে
সাত লাখ
টাকা করে
খরচ হয়েছে।
সরকারি দলের
কয়েকজন নেতার
ছত্রছায়ায় এসব সোঁতি জাল পরিচালিত
হওয়ায় ভয়ে
কেউ প্রতিবাদ
করতে সাহস
পায় না।
এদিকে গতকাল বুধবার
(৩১ আগষ্ট)
সিংড়া উপজেলা
প্রশাসনের উদ্যোগে মাসিক আইন শৃংখলা
সভায় তথ্য
ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
সরাসরি ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে চলনবিলের বিলের বিভিন্ন
নদীতে অবৈধ
সোঁতি জাল
অপসারণের নির্দেশনা
দেন।
সিংড়া উপজেলা সহকারী
কমিশনার (ভূমি)
জাহিদুল ইসলাম
ঘটনার সত্যতা
স্বীকার করে
জানান, তথ্য
ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী.জুনাইদ আহমেদ পলক
এমপির নির্দেশনার
ভিত্তিতেই এসব অবৈধ সোঁতি জাল
অপসারণে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে
অভিযান চালানো
হয়। অভিযানে
মহেশচন্দ্রপর ও কোতয়াবাড়ি এলাকায় আত্রাই
নদীতে দুইটি
অবৈধ সোঁতি
জাল অপসারন
করা হয়।
দিন ব্যাপী
অভিযান শেষে
তা ধ্বংস
করা হবে।
এছাড়া দেড়
লাখ টাকা
মূল্যের কারেন্
জাল জব্দ
করে ধ্বংস
করাসহ তিন
ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। অবৈধ
সোঁতি জাল
ও নিষিদ্ধ
কারেন্ট বন্ধে
এই অভিযান
অব্যাহত থাকবে
বলে তিনি
জানান ।

Post a Comment