প্রান্তজন রিপোর্ট: শোকর্যালি ও
স্মৃতিচারণ সহ নানা আয়োজনে বৃহস্পতিবার
নাটোরের চার
বীর শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা রেজা, রঞ্জু, সেলিম ও
বাবুলের ৪৬
তম শাহাদত
বার্ষিকী পালন
করা হয়। শহীদ রেজা-রঞ্জু-
সেলিম-বাবুল
স্মৃতি সংঘ
দিনটি শ্রদ্ধাভরে
পালন উপলক্ষে
বুধবার রাত
১২ টা
১ মিনিটের
সময় শহরের
কানাইখালীস্থ চার শহীদের শহীদ বেদীতে
পুস্পার্ঘ নিবেদনের মাধ্যমে কর্মসুচীর সূচনা
করে। বৃহস্পতিবার
সকালে একটি
শোক র্যালি শহর
প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ বেদীতে গেয়ে
শেষ হয়।
সেখানে স্মৃতিচারণ
করেন পৌর
মেয়র উমা
চৌধুরী জলি,
মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু, স্মৃতি
সংঘের সভাপতি
শেখ আনন্দ,
আওয়ামী লীগ
নেতা এড.
এম মালেক
শেখ, ওয়ার্ড
কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, আরজু শেখ,
মহিলা কাউন্সিলর
কোহিনুর বেগম
পান্না, ইউপি
চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
আঞ্জুমান আরা
পপি প্রমুখ।
এদিকে শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানাতে
সকালে পৌর
সভার পক্ষ
থেকে শহীদ
বেদীতে পুস্পার্ঘ
নিবেদন করা
হয়। পৌর
মেয়র উমা
চৌধুরী জলি
সহ কয়েকজন
কাউন্সিলর শহীদদের কবরস্থানে গিয়ে পুস্পার্ঘ
নিবেদন সহ
শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য উনিশ’ একাত্তর
সালের ১
সেপ্টেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান
রেজা ও গোলাম
রব্বানী রঞ্জুকে
নাটোরের গুরুদাসপুর
উপজেলার মশিন্দা
এলাকা থেকে
ধরে নিয়ে
গিয়ে নির্মম
নির্যাতনের পর হত্যা করে রাজাকার
ও আলবদর
বাহিনী। অন্য
দু’জন
সেলিম চৌধুরী
ও আমিরুল
ইসলাম বাবুল
মুক্তিযদ্ধের বিভিন্ন সময়ে পাকসেনা ও
তার দোসরদের
হাতে নিহত
হন। প্রতিবছর
এই দিনে
নাটোরের এই
চার বীর
শহদকে বিভিন্ন
সংগঠন
শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে।
তবে সরকারী
বা রাজনৈতিকভাবে
কোন অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা
হয়না।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান,
পৌর মেয়র
উমা চৌধুরী
কানাইখালী এলাকায় চার শহীদদের কবরস্থানে
তাদের স্মরনে
অত্যাধুনিক সৌধ বা স্থাপনা নির্মাণের
উদ্যোগ গ্রহণ
করে ২৫
লাখ টাকা
বরাদ্দ করেন।
কিন্তু জমি
জটিলতার কারণে
কাজটি শুরু
করা যায়নি।
ফলে বরাদ্দকৃত
অর্থ ফেরত
চলে যায়।

Post a Comment