বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি: নাটোরের
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
কতৃপক্ষের অব্যাবস্থাপানাই চিকিৎসক সংকট ও রোগীদের
দূর্ভোগের একমাত্র কারন। ইচ্ছেমত ডাক্তারদের
বদলি এর
বড় কারন।এতে
চিকিৎসা নিতে
আসা শত
শত রোগীরা
হয়রানির শিকার
হচ্ছে প্রতিদিন।
সকালে হাসপাতালে ডুকতেই
জরুরী বিভাগে
চোখেপড়ে রোগীদের
ভিড় ।
কাছে গিয়ে
দেখা যায়
বারান্দার পাশে বিষপানে অসুস্থ রোগী
। জরুরী
বিভাগের দুটি
বেডে দুইজন
মহিলা অসুস্থ
হয়ে শুয়ে
আছে। পা
ফেলার জাইগা
নেই। জরুরী
বিভাগের রুমটিতে
কমপক্ষে
৪০ জন রোগী গাদা গাদি
করে উপসহকারী
কমিউনিটি মেডিকেল
অফিসার দুজনকে
ঘিরে আছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল
সূত্রে জানা
যায় চিকিৎসক
সংকটের ব্যাপারে
কতৃপক্ষ জানলেও
চলতি মাসের
দুই তারিখে
জুনিয়র কনসালট্যান্ট
গাইনি ডাক্তার
ছালমা আক্তার
বদলি হয়।
ডাক্তার সংকটের
কারনে উপজেলার
জামনগর
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ মাহমুদ
হারুন সপ্তাহে
দুদিন আসা
শুরু করলেও
চলতি মাসের
তেইশ তারিখে
বদলি হয়েছে
ঢাকা পিজি
হাসপাতালে। জুনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি ইয়াসের
আরাফাত ৩
বছর ও
মেডিকেল অফিসার
মোফাজ্জল শরিফ
দেড় বছর
ধরে অনুপস্থিত
আছে এবং
তাদের বিরুদ্ধে
বিভাগীয় মামলা
চলছে।
মাতৃত্বকালিন ছুটিতে আছেন
মেডিকেল অফিসার
সুফিয়া সুলতানা
এবং আয়েশা
সিদ্দিকা আশা।
অপরদিকে গত
২৩ জুলাই
থেকে ডাক্তার
হামিদুল মুলক
এবং ৩১
জুলাই থেকে
ডাক্তার নুজহাত
নওরিন চার
মাসের বুনিয়াদি
ট্রেনিং নিতে
বাহিরে আছেন।
পদ খালি
আছে জুনিয়র
কনসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট
মেডিসিন ও ডেন্টাল
সার্জন ।
প্রতিদিন যেখানে
চার থেকে
পাঁচশ
রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসে,তারি বিপরিতে
দুজন মেডিক্যাল
অফিসার কিকরে
সামলাবে।
বর্তমানে আবাসিক মেডিক্যাল
অফিসার আবুল
হোসেন ও
মেডিকেল অফিসার
আশিকুল ইসলাম
এই দুইজন
চিকিৎসকের দায়িত্বে পড়েছে রোগীদের চিকিৎসা
সেবা দেয়া।
প্রতিদিন একজন
মেডিকেল অফিসার
এসব
রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা
তাসনিম আলম
সুমন জানান
হাসপাতালে কোন মেডিকেল অফিসার
নেই ,যে রুমগুলিতে ডাক্তাররা বসতো
সে রুমে
তালা। প্রায়
দেড় ঘন্টা
পার হয়েগেল,
জরুর বিভাগে
দুজন ডাক্তার
তারা জরুরী
রোগী দেখবে
না আমাদের
দেখবে। চিকিৎসা
নিতে আসা
রোগী ও
স্থনিয়রা মনে
করেন উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষের অব্যাবস্থাপানা
ও উদাসিনতাই
চিকিৎসক সংকট
ও রোগীদের
দূর্ভোগের একমাত্র কারন। গ্রামের
হাসপাতাল গুলিতে
চিকিৎসা প্রদানে
অনিহার কারনে
ইচ্ছেমত ডাক্তারদের
পছন্দ মত
স্থানে বদলি
নিচ্ছে ।
এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃস্টি কামনা
করেন
অনেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রবিশঙ্কর মন্ডল ট্রেনিং নিতে ঢাকায় আছে তাই কথা হয় মুঠফোনে তিনি বলেন চিকিৎসক সংকটের ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। ডাক্তার আসতে সময় লাগবে।

Post a Comment