স্টাফ রিপোর্টার: লাখো
মানুষকে কাঁদিয়ে
না ফেরার
দেশে চলে
গেলেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের
সাবেক সংসদ
সদস্য, সাবেক
প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ার পার্সন
বেগম খালেদা
জিয়ার অন্যতম
উপদেষ্ঠা আলহাজ্ব
ফজলুর রহমান
পটল (৬৭)। বৃহস্পতিবার
রাত ৯
টার দিকে
ভারতের কলকাতার
রবীন্দ্র হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে
তিনি মৃত্যু
বরণ করেন
( ইন্না লিল্লাহে
ওয়া ইন্না
ইলাইহে রাজিউন)। তিনি
দীর্ঘ দিন
ধরে কিডনি
রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যু কালে
তিনি স্ত্রী,দুই পুত্র,দুই কন্যাসহ
অসংখ্য গুনগ্রাহী
রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে
লালপুর,বাগাতিপাড়া
তথা নাটোর
জেলার বিএনপি
নেতা কর্মীদের
মাঝে নেমে
এসেছে শোকের
ছায়া। তাঁর
মৃত্যুতে বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,মহাসচিব
মির্জা ফকরুল
ইসলাম আলমগীর,নাটোর জেলা
বিএনপির সভাপতি
কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার
দুলু,লালপুর
ও বাগাতিপাড়া
উপজেলা বিএনপি,
গোপালপুর ও
বাগাতিপাড়া পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,
বিভিন্ন রাজনৈতিক
ও সামাজিক
নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
এবং শোক
সমতপ্ত পরিবারের
সদস্যদের প্রতি
গভীর সমবেদনা
জ্ঞাপন করেছেন।
কলকাতা থেকে
তাঁর মরদেহ
প্রথমে ঢাকায়
আনা হবে।
সেখানের জানাজা
শেষে ঢাকা
থেকে মরদেহ
লালপুরে আনা
হবে। এখানে
জানাজা শেষে
গৌরিপুরে পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে
বলে পারিবারিক
সূত্রে জানা
গেছে। তাঁর
মৃত্যুতে লালপুর
ও বাগাতিপাড়া
উপজেলা বিএনপি
তিন দিন
ব্যাপি শোক
পালনের ঘোষনা
করা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: ফজলুর
রহমান পটল
১৯৪৯ সালে
নাটোরের লালপুর
উপজেলার গৌরিপুর
গ্রামে এক
মুসলীম পরিবারে
জন্ম গ্রহন
করেন। তাঁর
বাবার নাম
মরহুম আরশাদ
আলী এবং
মাতার নাম
মরহুম ফজিলাতুন
নেছা। ৫ভাই
ও১ বোনের
পরিবারে তিনিই
ছিলেন সবার
বড়। তিনি
গৌরিপুর উচ্চ
বিদ্যালয় হতে
৮ম শ্রেণী
পর্যন্ত পড়াশুনা
করে পাবনাতে
গিয়ে পড়াশুনা
শুরু করেন।
সেখানে স্থাণীয়
একটি বিদ্যালয়
থেকে মেট্রিক
পাস করেন
এবং পাবনা
এডওয়ার্ড কলেজ
থেকে উচ্চ
মাধ্যামিক পাস করেন। এর পর
তিনি ভর্তি
হন রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি
ছাত্র রাজনীতির
সাথে যুক্ত
ছিলেন। ।
১৯৭৩ সালে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্র সংসদ
নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে
ভিপি নির্বাচিত
হন। ১৯৭৮
সালে শহীদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে
বিএনপির রাজনীতিতে
যুক্ত হন।
তিনি বিএনপির
প্রচার সম্পাদক
হিসেবে দীর্ঘদিন
দায়িত্ব পালন
করেন। এর
পর তিনি
বিএনপি চেয়ারপার্সন
বেগম খালেদা
জিয়ার অন্যতম
উপষ্ঠো হিসাবে
আমৃত্যু দায়িত্ব
পালন করেছেন।
তিনি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন
থেকে বিএনপি’র প্রার্থী
হিসাবে চারবার
সংসদ সদস্য
নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৯১
সালের বিএনপি
সরকারের শাসনামলে
যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
হিসাবে নাটোর
জেলার প্রথম
মন্ত্রী হিসাবে
অভিষেক হয়।
এর পর
১৯৯৩ সালে
সমাজ কল্যাণ
প্রতিমন্ত্র¿ী এবং ২০০১ সালে
চার দলীয়
জোট সরকারের
সময় যুব
ও ক্রীড়া
প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর
মধ্যে তিনি
হজ্ব পালন
করেন। বর্নাঢ্য
রাজনৈতিক জীবনে
মন্ত্রী, শীর্ষ
রাজনৈতিক নেতাদের
মধ্যে অন্যতম
সদস্য হিসাবে
দেশের জন্য
কাজ করেছেন।
তাঁর এই
বর্নাঢ্য জীবনে
জাপানসহ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশ
সফর করেছেন।
জীবনের শেষ
সময়ে বেশ
কয়েক বছর
ধরে তিনি
কিডনির জটিল
রোগে ভুগছিলেন।
তিনি দেশে
বিদেশে চিকৎসা
নিয়েছেন। সর্বশেষ
তিনি গত
১৬ এপ্রিল
চিকিৎসার জন্য
কলকাতা যান।
সেখানে রবীন্দ্র
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত
৯ টার
দিকে তার
মৃত্যু হয়।

Post a Comment