Halloween Costume ideas 2015

জয় হোক প্রান্তজনের


আশীক রহমান
প্রান্তজন সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হলো, পৃষ্টা সংখ্যা বাড়লো, দাপ্তরিক অগ্রগতিও হলো....এভাবে আজ বছর পূর্তি। এর সম্পাদক জানে কতো কি পরিশ্রম করতে হয়েছে পথটুকু পেরোতে। আমি দেখি তাকে এটি নিয়েই ছুটাছুটি করতে। নাটোরের মতো একটা ছোট জায়গায় একটা দৈনিক টিকিয়ে রাখা যে বেশ কঠিন তা বুঝতে পারি। আমার এটুকু ভালো লাগে যে, ইন্টারনেটের এই ¯্রােতের মধ্যে কিছু মানুষ নিশ্চই ছাপা হরফের কিছু পড়ে। প্রশংসাও তো শুনি অনেকের মুখে। ছাপা হরফের প্রতি একটা বিশ্বাস কিছু হলেও মনে হয় টিকে আছে; যা টিকিয়ে রাখা এবং বৃদ্ধি ঘটানোর দ্বায়িত্ব নিতে হবে কিন্তু এর সাথে জড়িত সকলকে। আমার মনে হয় বড় কাগজ গুলির চাইতে কোন ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় এই ছোট সংবাদপত্র গুলি। এরা প্রান্তিক হন গোষ্ঠির রুচি, মত, দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে  এবং ঘটাতে পারে যোগাযোগ।
এই যে যোগাযোগের মাধ্যম ; তার মধ্য দিয়ে মানুষের সমর্থন ; এই সমর্থনের মাধ্যমে একটা শক্তি জমা হয়। এই শক্তিই সংবাদপত্রের ক্ষমতা। এখন শক্তিতো স্থির হয়ে থাকেনা, চলতে চায়। মুশকিল হয় সেখানেই এই শক্তির ক্ষমতা খুব উত্তেজনাকর টুলস্ ; চোখ ধাঁধাঁনো কোনো ইলেকট্রনিক মেশিনের মতো, জাদুর কাঠির মতো। তাই এর নিয়ন্ত্রণ কারী যদি বিচক্ষন এবং সৎ না হয় তাহলে প্রকট সমস্যা। একটা সংবাদ পত্র শুধু সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রেই নয়, এমন কি মানুষের ভাষা শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা এক সময় দেখেছি বড়রা আমাদেরকে বাংলার জন্যদৈনিক বাংলাআর ইংরেজির জন্যঅবজারভারপত্রিকা পড়তে উপদেশ দিতেন। কাজের প্রতি নিষ্ঠা সততা এর কারণ নিশ্চই। আমাদের দেশের সংবাদ পত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাহিত্য। এখনও তেমন পরিবর্তন ঘটেনি দেখতে পাচ্ছি। অনেকেই সংবাদপত্রে সাহিত্যের অংশকে বাদ দেওয়ার পক্ষে ; আমি তাদের দলে নই। আমি মনে করি সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসারই নিদর্শন এটা। আমাদের দেশের সংবাদপত্রে অনেক বরেণ্য সাহিত্যিকের উজ্জল ভূমিকা আমাদের সাহিত্য জগতে প্রত্যক্ষ করেছি তাদের সৌজন্যে অনেক সাহিত্যিক স্থান পেয়েছেন পাঠকের হৃদয়ে। এমন কবিকে দেখেছি বই ছাপার আগেই সংবাদপত্রের সাহিত্য পাতার মাধ্যমেই তাকে পাঠক চিনেছে, হৃদয়ে স্থান পেয়েছে। অনেক বিখ্যাত সাহিত্য সম্পাদক পেয়েছি আমরা। প্রকাশকগণ তখন কার বই করবেন-এই সিদ্ধান্তের জন্য শরণ নিতেন দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য বিভাগের। আমার মনে হয় এই আস্থার জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে পারলে অনেক উপকার হয়। ইদার্নিংকম্যুনিকেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজকথাটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সংবাদ জগতে এটা আরো প্রকট আকারে দেখছি। সংবাদ দেওয়াটাই  যেহেতু মূল কাজ তাই ভাবের  সৌন্দর্য - সোন্দর্যের দরকার নাই- এই ভাবের ঘোর বিরোধী আমি। শুধু মূল দিয়ে জীবন চলেনা ; ডাল-পালাও লাগে। ভাষার সৌন্দর্য , শক্তি না বুঝলে সংবাদটি তেমন অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারবেনা বলে মনে করি। আমরা এখন তাই অযুত-নিযুত সংবাদ প্রেরক পাই ; একজন মোনাজাত উদ্দিন পাই না। আপাত সামান্য বেদনা ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা একমাত্র তার দ্বারাই সম্ভব, যে ভাষার শক্তি সৌন্দর্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত। আমরা তাকিয়ে আছি আশা নিয়ে। জানি আশার চেয়ে সাধ্য কম, তবুও...
জয় হোক প্রান্তজনের    


Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget