প্রান্তজন রিপোর্ট: দুই
জেলার বাস
মালিক-শ্রমিক
সমিতির দ্বন্দ্বের
জেরে নাটোর
ও রাজশাহীর
মধ্যে বাস
চলাচল বন্ধ
রয়েছে। মঙ্গলবার
সকাল থেকে
এই দুই
জেলার মধ্যে
সরাসরি বাস
চলাচল বন্ধ
হয়ে যায়।
এদিকে নাটোর
মিনবাস মালিক
সমিতি,পরিবহন
শ্রমিক ইউনিয়ন
এবং
জেলা ট্রাক ও ট্রাংকলড়ি শ্রমিক
ইউনিয়ন বাস
চলাচল স্বাভাবিক
করার জন্য
আগামী ৪৮
ঘন্টা বেধে
দিয়ে হুঁশিয়ারী
করেছে।
নাটোর মালিক সমিতির
সভাপতি লক্ষন
পোদ্দার জানান,
মঙ্গলবার সকালে
নাটোর মালিক
সমিতি অধীন
একটি বাস
যাত্রি নিয়ে
রাজশাহীতে গেলে রাজশাহী মালিক ও
শ্রমিক সমিতির
নেতৃবৃন্দ ওই বাস ফিরিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে নাটোর- রাজশাহীর সীমান্ত ঝলমলিয়া
এলাকা থেকে
নাটোর ও
রাজশাহীগামী বাস থেকে যাত্রি
নামিয়ে দেয়
তারা। নাটোরের
ওপর দিয়ে
যাওয়া কোন
বাস চলাচলে
বাধা দেওয়া
হচ্ছেনা বলে
তিনি জানান।
এদিকে রাজশাহীর বাস
মালিক শ্রমিক
নেতৃবৃন্দের হটকারি ও আগ্রাসি সিদ্ধান্তের
প্রতিবাদে নাটোর মিনিবাস মালিক সমিতি
এবং
জেলা ট্রাক ও ট্রাংকলড়ি শ্রমিক
ইউনিয়ন যৌথভাবে
এক সংবাদ
সম্মেলনের আয়োজন করে। মঙ্গলবার দুপুরে
নাটোর বাস-মিনিবাস মালিক
সমিতি কার্যালয়ে
আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে এই
দুই সংগঠনের
নেতৃবৃন্দ নাটোরের সাথে বাস চলাচল
বন্ধের জন্য
রাজশাহী সড়ক
পরিবহন গ্রুপ
ও রাজশাহী
জেলা পরিবহন
শ্রমিক ইউনিয়নের
কয়েকজন নেতাকে
দায়ী করেন। লিখিত
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ
অভিযোগ করে
বলেন, রাজশাহী
জেলা পরিবহন
শ্রমিক ইউনিয়নের
সভাপতি কামাল
হোসেন রবি
ও সাধারন
সম্পাদক মাহতাব
হোসেন চৌধুরী পরিবহন
সেক্টর থেকে
অবৈধভাবে বিপুল
অর্থের মালিক
বনে যান।
ওই অবৈধ
টাকায় বাস
মালিক হয়ে
তারা সমিতির
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাস
চালানোর জন্য
এই অচলাবস্থার
সৃষ্টি হয়।
তারা নাটোর
মালিক সমিতির
কোন বাস
ট্রিপে গেলে
রাজশাহীর সড়ক
পরিবহন গ্রুপ
ও পরিবহন
শ্রমিক ইউনিয়ন
যৌথভাবে প্রতিটি
বাস থেকে
প্রতিদিন মোটা
অংকের টাকা
চাঁদা আদায়
করে থাকে।
এব্যাপারে অব্যাহতভাবে প্রতিবাদ জানানো সত্বেও
তারা কর্ণপাত
করেনা। তাদের
এসকল অনৈতিক
কর্মকান্ডে বাধা দিলে তারা বাস
চলাচল বন্ধ
করে দেয়।
নাটোর মিনিবাস
মালিক সমিতি
এবং
জেলা ট্রাক ও ট্রাংকলড়ি শ্রমিক
ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ
আগামী ৪৮
ঘন্টার মধ্যে
বাস চলাচল
শুরু করে
অচলাবস্থা নিরসন করা না হলে
বৃহত্তর আন্দোলনের
ডাক দেওয়া
হুঁশিয়ারী করেন।

Post a Comment