বেশকটি আন্তর্জাতিক আসরে
পুরস্কৃত আলোচিত
চিত্রনাট্য ‘শঙ্খধ্বনি’ চলচ্চিত্রে রূপ পেতে
যাচ্ছে সরকারি
অনুদানে; কামার
আহমেদ সাইমন
ও সারা
আফরীনের চিত্রনাট্যে
সিনেমাটি পরিচালনা
করবেন সাইমন।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে ১২টি চলচ্চিত্র, যার মধ্যে সাতটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে।
বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুদানের বিষয়টি জানানো হয়।এতে বলা হয়, “স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসম্পন্ন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অনুদান প্রদান করছে।
“পাশাপাশি গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকেও উৎসাহ পুরস্কার প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।”
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রগুলো হল-- ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’, ‘শঙ্খধ্বনি’, ‘দেবী’, ‘গহীন বালুচর’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘সাবিত্রী’ ও ‘বধ্যভূমিতে একদিন’।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এই সাত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’, ‘শঙ্খধ্বনি’ ও ‘দেবী’ চলচ্চিত্র তিনটি ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে। ‘গহীন বালুচর’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ও ‘সাবিত্রী’ পাবে ৪০ লাখ টাকা করে।
আর পূর্ণ্যদৈঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘বধ্যভূমিতে একদিন’ পাবে ২০ লাখ টাকা।
চলচ্চিত্র নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম কিস্তিতে অনুদানে বরাদ্দ মোট অর্থের ৩০ শতাংশ হিসেবে কোন পরিচালক কত টাকা পাবেন তাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মোরশেদুল ইসলাম ও মারুফ বরকতের চিত্রনাট্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ নির্মাণ করবেন নন্দিত নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
বেশকটি আন্তর্জাতিক আসরে পুরস্কৃত আলোচিত চিত্রনাট্য ‘শঙ্খধ্বনি’ এবার পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রের রূপ পেতে যাচ্ছে। কামার আহমেদ সাইমন ও সারা আফরীনের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি পরিচালনা করবেন কামার আহমেদ সাইমন।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন জয়া আহসান। তার সঙ্গে যৌথ পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে মাকসুদ হোসাইনের।
হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস থেকে সিনেমা নির্মাণের অনুদান পেয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান
নিজের চিত্রনাট্যে ‘গহীন
বালুচর’ নামে
সিনেমাটি নির্মাণ
করবেন টিভিনাটকের
ব্যস্ততম নির্মাতা
বদরুল আনাম
সৌদ। সিনেমাটির
প্রযোজক হিসেবেও
তার নাম
রয়েছে।
‘বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন
স্বপন চৌধুরী।
তুষার আব্দুল্লাহ
ও পান্থ
প্রসাদের চিত্রনাট্যে
‘সাবিত্রী’ নির্মাণ করবেন পান্থ প্রসাদ।পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘বধ্যভূমিতে একদিন’ নির্মাণ করবেন কাওসার চৌধুরী, যার চিত্রনাট্য তিনি নিজেই লিখেছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনুদানের প্রথম চেকপ্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যেই চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনোভাবেই শিল্পী-কলাকুশলী-গল্প ও চিত্রনাট্যে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। একইসঙ্গে সিনেমাটি নকল বলে প্রমাণিত হলে অনুদানের পুরো অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে, এমনকি সরকার আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘ব্রাত্যজন’, ‘সাইকেল বালক’, ‘জলকন্যা’ ও ‘বক্তাবলীর কান্না’।
এই পাঁচটি চলচ্চিত্রই পাবে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান।
‘নামহীন গোত্রহীন’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন রাজীব আহসান। আবু সাঈদ রাব্বি নির্মাণ করবেন ‘ব্রাত্যজন’, দেওয়ান বাদল ‘জলকন্যা’, শাহজাহান শামীম ‘বক্তাবলীর কান্না’ নির্মাণ করবেন।
নীতিমালা অনুযায়ী স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায়ও একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। এ শাখায় ‘সাইকেল বালক’ শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন হাবিব।
স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় চলচ্চিত্র নির্মাণের শর্তে বলা হয়েছে, অনুদানের প্রথম চেকপ্রাপ্তির তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে পাঁচ নির্মাতাই প্রথম দফায় তিন লাখ টাকা অনুদান পাবেন।
নির্মাতাদের মধ্যে মোরশেদুল ইসলাম এর আগেও সরকারি অনুদান পেয়েছেন। সরকারি অনুদানে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রটি।

Post a Comment