বিনা জামানতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার প্রান্তিক মানুষদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
মঙ্গলবার দুপুরে পিলখানার সীমান্ত স্কয়ারে সংবাদ সম্মেলনে ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ নামে এ ঋণপ্রকল্প চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৮ মাসমেয়াদি অথবা আবর্তনশীল এই ঋণসুবিধা গ্রাহকপ্রতি সর্বোচ্চ ১ লাখ করে বার্ষিক ৫ শতাংশ সরল সুদে বিতরণ করা হবে। এর জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জয়নুল বলেন, “আমাদের প্রস্তাবিত ঋণ প্রকল্পটি সম্ভাব্য সকল প্রকার ছাড় দিয়ে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের কাছে সহজলভ্য করার চেষ্টা করছি। এই ঋণ মূলত ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প এবং প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চালু করা হয়েছে।
“এই সকল উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও কৃষক ন্যুনতম ১০ টাকায় হিসাব খুলে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।”
কামার, কুমার, জেলে, দর্জি, ফুল বিক্রেতা, পত্রিকা বিক্রেতা, চা-পান বিক্রেতা, হকার বা ফেরিওয়ালা, ফল বা সবজি বিক্রেতা, রিক্সা বা ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, তাঁতি, কনফেকশনারিসহ খাবার প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তা, প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই ঋণ সুবিধার আওতায় থাকবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, “কৃষিঋণ বিতরণের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এনজিওর মাধ্যমে সেটা বিতরণের কথা বলেছিল। আমরা ন্যাশনাল ব্যাংক সেটা শুনি নাই। এনজিওদের মাধ্যমে টাকা অন্য দিকে চলে যাক আমরা চাইনি।
“আমরা নিজেরাই কৃষিঋণ বিতরণ করে সফল হয়েছি। সেখানে আমরা মানুষের কাছে গিয়েছি, এক্ষেত্রেও সেভাবে তাদের কাছে যাব।”
আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এফ এম শরিফুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে পরিচালক পারভীন হক সিকদার, রন হক সিকদার, আনোয়ার হোসেন ও মাহবুবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment