কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।সম্প্রতি আমানত ও ঋণের সুদের হার কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা পুনঃনির্ধারণ করেছে বলে এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশে নির্ধারণ করেছিল। তারও আগে এ হার ছিল ১৩ শতাংশ।
সম্প্রতি
ব্যাংকিং খাতে
আমানতের সুদহার
কমেছে। যে
কারণে ব্যাংকগুলো
ঋণের সুদহারও
কমিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ব্যাংকিং আমানতের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ; আর ঋণের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেশিরভাগ ব্যাংক ইতোমধ্যে কৃষি ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে এনেছে। সোনালী, জনতা, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ বিতরণ করছে। অগ্রণী ব্যাংক করছে ৮ শতাংশ হারে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে চলছে ইরি ধান
কাটা। ফলন
ভালো হলেও
বাজার দরে
উৎপাদন খরচ
উঠছে না
বলে অভিযোগ
কৃষকদের।ছবি: তানভীর আহাম্মেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ব্যাংকিং আমানতের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ; আর ঋণের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেশিরভাগ ব্যাংক ইতোমধ্যে কৃষি ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে এনেছে। সোনালী, জনতা, রূপালী, বিডিবিএল ও বেসিক ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে কৃষি ঋণ বিতরণ করছে। অগ্রণী ব্যাংক করছে ৮ শতাংশ হারে।
শুরু হয়েছে ধান কাটার মৌসুম, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধান কেটে ঘরে নিতে ব্যস্ত কৃষক। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ
তবে কৃষি ঋণের
জন্য বিশেষায়িত
ব্যাংক কৃষি
ও রাজশাহী
কৃষি উন্নয়ন
ব্যাংক ১১
শতাংশ সুদে
এ ঋণ
বিতরণ করছে।
এই দুই
ব্যাংকই সবচেয়ে
বেশি কৃষি
ঋণ বিতরণ
করে থাকে।
৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এর মধ্যে
কৃষি ব্যাংক
ও রাজশাহী
কৃষি উন্নয়ন
ব্যাংকের বিতরণ
করার কথা
৬ হাজার
৪০০ কোটি
টাকা।৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
ছয়টি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংককে ২ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ব্যাংকগুলো ১৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে।

Post a Comment