প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরে
যাচাই-বাছাই
শেষে ৩৩
জন প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধার নাম ঘোষনা করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাইয়ে
জেলার নলডাঙ্গা
ও সদর
উপজেলার মোট
আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৮৫৬ জন।
যাচাই বাছাই
শেষে রোববার
বিকেলে ঘোষিত
ফলাফলে ৩৩
জনের নাম
ঘোষনা করেন
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি।
নাটোর সদর উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) আব্দুল¬াহ আরিফ
মোহাম্মদ এই
তথ্য নিশ্চিত
করে জানান,
সদর ও
নলডাঙ্গা উপজেলার
প্রায় ১০১৬
জন মুক্তিযোদ্ধা
তালিকায় অন্তর্ভুক্তির
জন্য আবেদন
করেন। এদের
মধ্যে অন
লাইনে আবেদন
করেন ৮৫৬
জন। অন
লাইনে আবেদনকারীদের
৭ ফেব্রয়ারী
যাচাই বাছাই
কমিটি সাক্ষাতকার
নেয়া হয়।
সাক্ষাতকারসহ যাচাই বাছাই শেষে আজ
বিকেলে ৩৩
জনকে প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ফলাফল ঘোষনা করেন
যাচাই বাছাই
কমিটি।
এদিকে এই ফলাফল
ঘোষনা বাতিলের
দাবীতে সোমবার
নাটোর প্রেসক্লাবে
সংবাদ সম্মেলন
করেছেন আবেদনকারী
মুক্তিযোদ্ধারা। তারা নাটোরের যাচাই-বাছাই
কমিটি নিয়ে
প্রশ্ন তুলে
বলেছেন, যাচাই-বাছাই কমিটি
অসম্পূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৬ জন
মুক্তিযোদ্ধা সদস্যের মধ্যে মাত্র তিন
জনকে দিয়ে
বিধিবর্হিভূতভাবে বাছাই কার্যক্রম
চালানো হয়েছে।
তারা আরো
অভিযোগ করেন
কমিটির সভাপতি
জেলা মুক্তিযোদ্ধা
কমান্ডার আব্দুর
রউফ সরকার
ও জামুকা
প্রতিনিধি মহিতোষ সরকারকে বাদ দেয়া
হয়েছে। আবার
এড. সিরাজুল
ইসলামকে জেলা
কমান্ডার ও
জামুকা প্রতিনিধি
হিসেবে দুই
স্থানেই রাখা
হয়। সংবাদ
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা
বলেন, সংক্ষুদ্ধ
মুক্তিযোদ্ধাদের আপিলের সুযোগ থাকলেও লাল
মুক্তিবার্তার সাক্ষী ও অর্থাভাবে অনেকে
আপিল করতে
পারবেন না। এজন্য
তারা প্রদত্ত
তালিকা প্রত্যাখান
করে পুনরায়
যাচাই-বাছাইয়ের
দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে
আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য
পাঠ করেন
রেজাউল করিম
খান। এসময়
আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
আব্দুল¬াহ
আল মামুন
লুলু, আব্দুস
সাত্তার, আবুল
কালাম আজাদ,
মুকুল সাহাসহ
শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা
ও তাদের
পরিবারের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) বলেন,
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জামুকা থেকে
পাঠানো তালিকা
অনুযায়ী কমিটির
সদস্য দ্বারা
যাচাই বাছাই
কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাচাই
বাছাইয়ের পর
সর্বসম্মতক্রমে গৃহিত ৩৩ জনের নাম
ঘোষনা করা
হয়। কোন
ধরনের অনিয়মের
সঠিক নয়।

Post a Comment