Halloween Costume ideas 2015

নাটোরের ভেষজ গ্রামে সিন্ডিকেটের থাবা!


প্রান্তজন রিপোর্ট: ঔষধী গ্রাম হিসেবে খ্যাত নাটোরের হয়বতপুর ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের চাষীরা এখন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে উৎপাদিত ঔষধী ফসল ঘৃতকুমারি ( স্থানীয় ভাষায় ঘৃতকাঞ্চন) কম মুল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে চাষীরা। ঢাকাস্থ বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা এই সিন্ডিকেট করে চাষীদের দাদন দিয়ে কম দামে মাল কিনছে। চাষীদের অভিযোগ, কোম্পাণীর প্রতিনিধিরা চাষীদের দাদন দিয়ে মৌসুমে কম দাম হাঁকে। একারণে চাষীদের অনেকেই ন্যায্য দাম  থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা ভেষজ ক্রয়ে সরকারের সহায়তা সহ নজরদারির দাবী জানান।
লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক শাজাহান আলী, আমীরগঞ্জ বাজারের আব্দুল খালেক, জয়নাল আবেদীন জানান, ঘৃতকুমারি প্রতিকেজি ১৫ থেকে ১৭ টাকায় বিক্রি হলেও কোম্পাণীর প্রতিনিধিরা  দাম দেয় টাকা। এছাড়া একটি গাড়িতে মজুদ ঘৃতকুমারি ৩শ কেজির বেশী ওজন হলে ৬০ কেজি অতিরিক্ত ঢলনদিতে হয়। এতে প্রতি কেজির দাম আরও কম হয়।  এছাড়া নষ্ট পাতা দিলে দাম আরও কম হাঁকে।
কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, ঢাকায় মহাজনের কাছে সরাসরি বিক্রি করলে দাম বেশী পাওয়া যায়। তবে কোম্পাণীর লোক ঘৃতকুমারির নষ্ট পাতা নেয়। ঢাকায় নষ্ট পাতা নেয়না। শুধু ভাল পাতা নেয়। কোম্পাণীর লোক নষ্ট পাতা নিলে ভাল পাতার দাম কম দেয়। লক্ষীপুর খোলাবাড়িয় ইউনিয়নের আমিরগঞ্জ বাজারে ভেষজের বাজার বসে। একমাত্র তাইওয়ান ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি কোম্পাণীর প্রতিনিধিরা  এখান থেকে ঘৃতকুমারি ভেষজ কিনে ঢাকায় পাঠায়। এছাড়া কৃষকদের দাদন দেয় বেশ কয়েকজন। তারা পরে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য করে।
আমীরগঞ্জ বাজারের ভেষজ ব্যবসায়ী কৃষক আব্দুস সালাম শিকদার জানান, কোম্পাণীর লোক স্থানীয় কিছু অর্থশালী চাষের আগেই কৃষককে দাদন দেয়। তারা ওই টাকার কমিশনের পাশাপাশি কম দামে ঘৃতকুমারি কিনে ঢাকার মহাজন বা কোম্পাণীতে বেশী দামে বিক্রি করে। তারা লাভবান হলেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এখানে এখন ভেষজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কৃষক জানান, তিনি এই বছর ১৫ কাঠা জমিতে ঘৃত্যকাঞ্চন চাষ করেন। অনেকেই তাকে দাদন দেওয়ার জন্য ঘোরাঘুরি করে। টাকা না নেওয়ায় ভয় দেখিয়ে বলেছে, কে তার ঘৃতকুমারি( ঘৃতকাঞ্চন) কিনতে আসে তারা দেখে নিবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া আমীরগঞ্জ বাজারসহ ভেষজ গ্রামগুলোতে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠায় স্থানীয় চাষীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তাইওয়ান ফুড প্রোডাক্ট এর স্থানীয় প্রতিনিধি রব ভুইঁয়া সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবী করে জানান, কোম্পাণী ছাড়া কোন মহাজন রিজেক্ট মাল নেয়না। কোম্পাণী যে দামে মাল কিনে তাতে কৃষক লাভবান হচ্ছে। ভালমানের ঘৃতকুমারির প্রতিকেজি দাম দেওয়া হয় ১৫ টাকা। আর রিজেক্ট মালের দাম দেওয়া হয় প্রতিকেজি টাকা করে। অতিরিক্ত মালে কোন ঢলন নেওয়া হয়না। তিনি নিজেও ঘৃতকুমারির চাষ করে থাকেন। এছাড়া অন্যরাও মাল কিনে ঢাকায় নিয়ে যায়।





Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget