গুরুাদাসপুর প্রতিনিধি: অনুমোদনহীন
মানবাধিকার সুরক্ষা সোসাইটি ও মানবাধিকার
বাস্তবায়ন সংস্থার (ইনসাফ) ভূঁয়া চেয়ারম্যান
শহীদ চৌধুরীকে
(৩৫) গ্রেফতার
করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে পৌর
সদরের কর্মকারপাড়স্থ
ভাড়া অফিস
থেকে তাকে
গ্রেফতার করা
হয়।
এসময় তার অফিস
থেকে চেয়ার-টেবিল ও
বিভিন্ন কাগজ
পত্র উদ্ধার
করা হয়।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য অবসরপ্রাপ্ত
সেনা সদস্য
জিল্লুর রহমানকে
আটক করা
হয়। পরে
বিকালে তাকে
ছেরে দেওয়া
হয়েছে। এঘটনায়
গুরুদাসপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে
শহীদকে অভিযুক্ত
করে প্রতারণা
মামলা দায়ের
করেছেন। গ্রেফতারকৃত
শহীদ উপজেলার
ধারাবারিষা ইউনিয়নের ওসমান গণির ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,
মাসখানেক শহিদ
নিজেকে মানবাধিকার
বাস্তবায়ন ও মানবাধিকার সুক্ষা সোসাইটি
নামের দুইটি
সংস্থার চেয়ারম্যান
দাবি করেন।
ওই পরিচয়ে
পৌর সদরের
কর্মকার পাড়ার
মৃত মহাম্মাদের
বাড়ির নিছতলার
পাঁচটি ঘর
ভাড়া নিয়ে
অফিসিয়াল কার্যক্রম
পরিচালনা করতে
থাকেন। ওই
অফিসে একজন
এ্যাকাউন্স অফিসার মহিলা, অফিস সহকারী
মহিলাসহ পাঁচটি
পদে সুদর্শন
মহিলাদের আবেদনের
জন্য উপজেলার
সর্বত্র পোস্টার
লিফলেট লাগানো
হয়। এছাড়া
নির্যাতিত, অবহেলিত, দুস্থ মানুষদের সহায়তা
দেওয়া হবে
মর্মে বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করা
হয়। সেই
সূত্রে অনেকেই
ওই অফিসে
সালিশ নিয়ে
আসেন। ভুক্তভোগিদের
কাছ থেকে
প্রতিটি শালিসে
চার থেকে
দশ হাজার
টাকা হাতিয়ে
নিতেন ওই
ভূঁয়া চেয়ারম্যান।
এছাড়া সেখানে
অসামাজিক কার্যকলাপও
হতো।
বাড়ির মালিক ফাত্তাহ
তানভির বলেন,
মাস খানেক
আগে ওই
ভূঁয়া চেয়ারম্যান
মানবাধিকার অফিস করার জন্য তার
বাড়ির নিছতলার
পাঁচটি কক্ষ
ভাড়া নেন।
ভাড়া দেওয়ার
পর চেয়ারম্যানের
আচরন সন্দেহজনক
হওয়ায় সংস্থার
ঢাকা প্রধান
কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন
ওই নামে
মানবাধিকারের কোন সংস্থা বা চেয়ারম্যান
নেই। বিষয়টি
তিনি গুরুদাসপুর
থানায় অবগত
করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি)
দিলীপ কুমার
দাস বলেন,
খবর পেয়ে
কয়েক দিন
অনুসন্ধানের বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে অভিযান
চালিয়ে ওই
ভূঁয়া চেয়ারম্যানকে
গ্রেফতার করা
হয়। জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য নিয়ে
আসা সেনা
সদস্য জিল্লুরের
সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেরে
দেওয়া হয়েছে।

Post a Comment