স্টাফ রিপোর্টার: নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের
সাবেক সংসদ
সদস্য, সাবেক
যুব ও
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
এবং বিএনপি
চেয়ারপারসোনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটলের
কয়েক দফা
জানাজা শেষে
নিজ গ্রামের
বাড়ি লালপুরের
গৌরিপুরে দাফন
করা হয়েছে।
তার মায়ের
কবরের পাশে
তাকে কবর
দেওয়া হয়।
রোববার আছরের
নামাজ শেষে
গৌরিপুর হাইস্কুল
মাঠে তার
৪র্থ বারের
মত জানাজা
নামাজ অনুষ্ঠিত
হয়। এই
জানাজা শেষে
সন্ধ্যা ৬
টার দিকে
তাকে তার
গৌরিপুর পারিবারিক
গোরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন
করা হয়।
এর আগে আর
এন্ড আর
এভিয়েশন এর
সিকদার-৫
হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে দুপুর
১টা ১৫
মিনিটে ফজলুর
রহমান পটলের
মরদেহ বাগাতিপাড়া
পাইলট স্কুল
মাঠে নিয়ে
আসা হয়।
মরহুমের ছোট
ছেলে ইফতেখার
আরশাদ প্রতীক
মরদেহের সাথে
ছিলেন। বড়
ছেলে ইয়াসির
আরশাদ রাজন
লাশ দাফনের
সময় উপস্থিত
ছিলেন। ঢাকা
থেকে দুপুরে
মরদেহ নাটোরে
পৌছার পর
বাগাতিপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ
ও লালপুরের
গৌরিপুর
উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরপর দু’টি জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়।
এই দুই
জানাজায় লালপুরে
উপস্থিত ছিলেন,
নাটোর-১
আসনের সংসদ
সদস্য আওয়ামীলীগ
নেতা অ্যাডভোকেট
আবুল কালাম
আজাদ, উপজেলা
আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু,
সাধারণ সম্পাদক
ইসাহাক আলী,
উপজেলা বিএনপি
সভাপতি ও
চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ পাপ্পু, পৌর
মেয়র নজরুল
ইসলাম মোলাম,
সাবেক মেয়র
বিএনপি নেতা
মঞ্জুরুল ইসলাম
বিমলসহ আরো
অনেকে।
এর আগে রোববার
দুপুর ২টা
১৫ মিনিটের
সময় তার
নিবাচর্নী এলাকা বাগাতিপাড়া উপজেলার মডেল
পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয় মাঠে
জানাজা অনুষ্ঠিত
হয়। জানাজায়
জেলা বিএনপির
সাধারন সম্পাদক
আমিনুল হক,
সাবেক নাটোর
পৌরমেয়র শেখ
এমদাদুল হক
আল মামুন,
বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি মেয়র
মোশাররফ হোসেন,
সাধারন সম্পাদক
ও উপজেলা
চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা
আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন,
সাধারন সম্পাদক
সেকেন্দার রহমান, জামায়াতের আমির মোস্তফিজুর
রহমান, কেন্দ্রীয়
ছাত্রদল সহ-সভাপতি তারিকুল
ইসলাম টিটুসহ
সকল পর্যায়ের
নেতা-কর্মী
ও সাধারন
মানুষ উপস্থিত
ছিলেন। সেখান
থেকে দুপুর
২ টা
২৫ মিনিটে
লাশ বহনকারী
গাড়িতে করে
সড়ক পথে
ফজলুর রহমানের
নিজের গ্রামের
বাড়ি লালপুর
উপজেলার গৌরিপুর
গ্রামের উদ্দেশ্যে
নেওয়া হয়
। এসময়
এই নেতার
মরদেহ দেখতে
সড়কের দুই
ধারে দলীয়
নেতাকর্মী ছাড়াও হাজার হাজার
নারী-পুরুষ
দাঁড়িয়ে কাঁদতে
দেখা গেছে।
বিকেল ৩
টা ১৫
মিনিটে তার
মরদেহ গৌরিপুর
গ্রামে পৌছে।
সেখানে হাজার
হাজার নেতাকর্মী,
সমর্থক ও
সাধারণ মানুষের
উপস্থিতিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের
সৃষ্টি হয়।
তাদের প্রিয়
নেতার মরদেহ
দেখে সকলেই
কান্নায় ভেঙ্গে
পড়েন। ফজলুর
রহমানের মৃত্যুতে
পুরো গ্রাম
জুড়ে চলে
শোকের মাতম।
স্বজনদের আহাজারিতে
আকাশ-বাতাস
ভাড়ি হয়ে
ওঠে। তাঁর
জানাজায় নিজ
জেলা নাটোর
ছাড়াও রাজশাহী,
পাবনা, সিরাজগঞ্জ
ও বগুড়া
থেকে কয়েক’শ দলীয়
সহকর্মী-সমর্থক
এবং আশপাশের
এলাকা থেকে
প্রায় লক্ষাধিক
মানুষ অংশ
গ্রহন করেন।
সেখানে গৌরিপুর
হাইস্কুল মাঠে
জানাজা নামাজ
শেষে সন্ধ্যা
৬ টার
দিকে পারিবারিক
গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সুত্রে জানা
যায়, এর
আগে সকাল
৯টায় ঢাকায়
বনশ্রী কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদে
প্রথম জানাজা
এবং সকাল
সাড়ে ১০টায়
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে
দ্বিতীয় দফা
জানাজার নামাজ
অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১
আগষ্ট বৃহস্পতিবার
রাত ৯টার
দিকে ভারতের
কলকাতার মুকুন্দপুরের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মারা যান
তিনি। তিনি
কিডনিসহ নানা
জটিল রোগে
ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল
৬৬ বছর।
গত ১৩
আগষ্ট শনিবার
সন্ধ্যায় আকাশ
পথে
কলকাতা থেকে তার মরদেহ ঢ
াকায় আনা
হয়। এরপর
মরদেহ বারডেম
হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

Post a Comment