প্রান্তজন রিপোর্ট: মাদক
বিক্রি নিয়ন্ত্রণে
নাটোরে স্পটগুলোতে
এখন পুলিশি
কোনও উল্লেখযোগ্য
অভিযান নেই।
ফলে অনেকটা
প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের কেনা-বেচা।
বিক্রেতারা বলছেন, পুলিশ জঙ্গি ধরার
কাজে ব্যস্ত
বলেই তারা
সুযোগটা বেশি
করে কাজে
লাগাচ্ছেন। নাটোরসহ দেশের সকল এলাকার
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঈদ সামনে
রেখে বাড়তি
আয়ের জন্য
নানা কায়দায়
মাদকের সরবরাহ
নিশ্চিত করতে
চাইছেন বিক্রেতারা।
অভিযানের ভয়
এখন কম।
খোলা এলাকায়
চলছে লেনদেন।
হঠাৎ এই
পরিস্থিতির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতাদের
দাবি, মাস
গেলে টাকার
ভাগ যায়
নানা জায়গায়।
সেটা ঠিক
থাকলেই হয়।
আর পুলিশ
এখন ‘জঙ্গি
দৌড়ানিতে’ আছে। ঘরের পুরুষরা একটু
আড়ালে থাকলেও
নারীরা দিব্যি
ব্যবসা চালিয়ে
নিচ্ছেন। দুজন
মানুষ কোনও
মতে হাঁটতে
পারে এমন
অলিগলি পার
হয়ে হাত
বাড়ালেই বেরিয়ে
আসছে ইয়াবা,
ফেন্সিডিল। কেউ কেউ চিহ্নিত স্পটের
পার্শ্বে/অন্যত্র
রাখছে মাদক
সরঞ্জাম। বিভিন্ন
অনুসন্ধানে জানা গেছে নাটোর শহরের
তেবাড়িয়া, হুগোলবাড়িয়া, বড়গাছা, বৌ-বাজার,
রেল-ষ্টেশন,
মল্লিকহাটি এলাকাগুলোতে মাদকের রমরমা ব্যবসা
চলছে।
বর্তমানে এসব এলাকায়
বড় ধরণের
সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিভিন্ন
সূত্রে জানা
গেছে তেবাড়িয়া’র সামাদ
ডিশ লাইনের
ব্যবসার আড়ালে
দিব্যি মাদক
ব্যবসা করে
আসছে, ডিশ
ব্যবসার নামে
সারারাত জেগে
থেকে বিভিন্ন
জায়গায় মাদক
বিক্রয় ও
চুরি করার
অভিযোগ তার
বিরুদ্ধে আছে,
সে বাইরে
থাকলে তার
স্ত্রী এ
ব্যবসা পরিচালনা
করে, এর
আগে পত্র
পত্রিকায় প্রকাশের
পর ও
স্থানীয় সাংসদের
নির্দেশে তাকে
গ্রেফতার করা
হলেও আদালত
থেকে জামিনে
মুক্ত হয়ে
পরবর্তীতে সে আরও ব্যাপকভাবে এ
ব্যবসা চালিয়ে
যাচ্ছে বলে
জানা গেছে।
এছাড়াও তেবাড়িয়ায়
চিহ্নিত মাদক
ব্যবসায়ী আশরাফ,
আনিছ, নায়েব’রা দীর্ঘদিন
ধরে মাদক
ব্যবসা চালাচ্ছে।
হুগোলবাড়িয়ায় ইয়াবা ডিলার হিরক বিভিন্ন
জায়গায় ইয়াবা
সাপ্লাই করে
আসছে, কিছুদিন
আগে ইয়াবাসহ
পুলিশের হাতে
ধরা পড়লেও
১৫/২০
দিনের মধ্যে
আবার জামিনে
বের হয়ে
পুনরায় মাদক
ব্যবসা শুরু
করে, বর্তমানে
সে নাটোরে
চিহ্নিত সবচেয়ে
বড় ইয়াবা
ডিলার। বড়গাছার
মাদক সম্রাট
সাইদুল ও
সম্রাজ্ঞী আছিয়া, আম্বিয়াও নাটোরে একনামীয়
মাদক ব্যবসায়ী,
দীর্ঘদিন ধরে
প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে,
স্থানীয় সূত্রে
জানা গেছে
তারা নাকি
পুলিশ’ কে
মাসিক চাঁদা
দিয়ে ব্যবসা
করে। মল্লিকহাটি’র জিন্নাছ,
মাসুমসহ আরো
অনেকেই ইয়াবা
বিক্রয়ের সাথে
জড়িত। দীর্ঘদিন
ধরে ছাতনী
গ্রামের সাঁওতালপাড়ায়,
দত্তের বাগান,
প-িতগ্রামে
বৈকুণ্ঠের বাগান, বেলঘড়িয়া বিক্রেতাদের
সাথে যোগাযোগ
করে জানা
গেছে পুলিশ
এখন জঙ্গি
ইস্যুতে ব্যস্ত
থাকায় মাদকের
অভিযান কম।
এ বিষয়ে
নাটোর থানা
ওসি মিজানুর
রহমানের কাছে
জানাতে চাওয়া
হলে তিনি
বলেন, বিক্রেতাদের
কাছ থেকে
কোনও টাকার
ভাগ নেওয়ার
প্রশ্নই আসে
না। আমাদের
টহলে কমতি
নেই, তাছাড়া
চিহ্নিত মাদক
ব্যাবসায়ীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত
রয়েছে।

Post a Comment