প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নে সদ্য
সমাপ্ত ৪০
দিনের কর্মসৃজন
কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে
ব্যাপক অনিয়মের
অভিযোগ পাওয়া
গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা
যায়, উপজেলার
ধারাবারিষা ইউনিয়নের কুমারগাড়ি বিলের উমেদ
আলীর জমি
হতে রব্বেল
হাজীর জমি
পর্যন্ত প্রায়
১ কিলোমিটার
রাস্তা সংস্কারের
কথা। সেখানে
প্রতিদিন ৮৫
জন হতদরিদ্র
শ্রমিকদের মাধ্যমে মাটি কেটে রাস্তা
সংস্কারের জন্য ৬ লাখ ৮০
হাজার টাকা
বরাদ্দ দিলেও
ওই প্রকল্পে
কাজের কাজ
কিছুই হয়নি
বলে জানান
এলাকাবাসী। তবে প্রকল্পের সমুদ্বয় টাকা
উত্তোলন করা
হয়েছে। ১
কিলোমিটার ওই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ
বর্ষাকালে পানিতে ডুবে থাকায় জনচলাচল
ব্যাহত হয়ে
থাকে বছরে
৭/৮
মাস। এই
সড়ক দুর্দশা
লাঘবের উদ্দেশ্যে
প্রকল্পটি সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়ে প্রকল্প
সভাপতি ওই
ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য আমিরুল
ইসলামের ওপরে
প্রকল্প বাস্তবায়নের
দায়িত্ব দেয়া
হয়। কিন্তু
কাজের বেলা
একেবারেই পুকুর
চুরি হয়ে
গেছে বলে
জানান ধারাবারিষার
সরকারপাড়ার সুলতান আলী, সাইনডালপাড়ার আলমগীর,
খাকরাদহের ভুলন সরকার, ফকিরপাড়ার সোহেল
ছাড়াও এলাকার
প্রত্যক্ষদর্শি ব্যক্তিবর্গ।
ওই প্রকল্পের শ্রমিক
খাকরাদহ গ্রামের
মনোয়ারা বেগম
(৫০) জানান,
প্রকল্পে প্রতিদিন
৮৫ জন
শ্রমিক থাকার
কথা থাকলেও
গড়ে দুই
দলে ৪০
থেকে ৪৫
জনের হাজিরা
পাওয়া যেত।
নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকায় প্রকল্প
সভাপতি আমিরুল
ইসলাম প্রকল্পে
না আসায়
কাজে ফাঁকিবাজি
হয়েছে বেশি।
ফলে কর্মরত
মহিলারা সারাদিন
চুলের উকুন
তুলেই দিন
পার করেছে।
পাশে থেকে
কিছু মাটি
কেটে রাস্তার
মাঝে মধ্যে
ছিটিয়ে ফেলেছে।
রাস্তার সংস্কারের
কোন চিহ্ন
এখন আর
পাওয়া যাচ্ছেনা।
মনোয়ারা আরও
জানান, শ্রমিকরা
কেউই তাদের
ব্যাংকে জমা
রাখা টাকা
পায়নি। এমনকি
পারিশ্রমিক থেকেও তিনদিন করে টাকা
কেটে নেয়া
হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প
সভাপতি আমিরুল
ইসলামকে (০১৮১৭০৭১৭৯১)
ফোন নম্বরে
দিলে তিনি
ফোন বারবার
কেটে দেন।
অপরদিকে ধারাবারিষা
ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুল মতিনকে
গতকাল মঙ্গলবার
বিকেল ৪
টা ৫০
মিনিটে ওই
প্রকল্প সম্পর্কে
জিজ্ঞাসার জন্য কয়েকবার (০১৭১২৪১৩২১৭) নম্বরে
ফোন দিলেও
তিনি রিসিভ
করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা মো. আলতাব নিয়াঁজীর সাথে
মুঠোফোনে যোগাযোগ
করলে তিনি
জানান, আমি
সবেমাত্র কাজে
যোগদান করেছি।
বিগত কোন
কাজ সম্বন্ধে
আমার জানা
নেই।

Post a Comment