মাত্র চার বলে শেষ ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশা। ভালো ভিতের পর বড় সংগ্রহ গড়ার আশা তাদের গুঁড়িয়ে যায় চার বলের চার উইকেটে। আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাদের বড় হারে শেষ ওয়ানডে সিরিজ।
৩-০ ব্যবধানে জেতা তিন ম্যাচের সিরিজে ব্যাটিংয়ের সুযোগই মেলেনি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। প্রথম দুই ম্যাচে ৯ ও ৮ উইকেটে জেতা অতিথিরা গ্রায়েম ক্রেমারদের এবার হারিয়েছে ১০ উইকেটে।ওয়ানডেতে এটি ভারতের ১০ উইকেটের ষষ্ঠ জয়। ১৯৭৫ সালে পূর্ব আফ্রিকাকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বেই প্রথম ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল তারা। ১৯৯৮ সালেও জিম্বাবুয়েকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত।
বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভার ২ বলে ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২১ ওভার ৫ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল ও অভিষিক্ত ফাইজ ফজল কোনো তাড়াহুড়া করেননি। দেখেশুনে খেলে ১৬৯ বল অব্যবহৃত রেখেই দলকে সহজ জয় এনে দেন তারা।
৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন সেরা রাহুল। তার ৭০ বলের ইনিংসে দুটি ছক্কা ও চারটি চার। অভিষেকে শতক করা উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যানের সিরিজে রান ১৯৬, একবার আউট হওয়ায় গড়ও তাই।
রবিন উথাপ্পা ও রাহুলের পর ভারতের তৃতীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ফজল অভিষেকে পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করেন। চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া ৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। তার ৬১ বলের ইনিংসটি গড়া সাতটি চার ও একটি ছক্কায়।
এর আগে জয়ের জন্য মরিয়া জিম্বাবুয়ে এই ম্যাচে আনে পাঁচটি পরিবর্তন। ১৮ সদস্যের দলে না থাকা ম্যালকম ওয়ালারকেও খেলায় তারা।
উইকেট ধরে রাখতে প্রথম ১৭ ওভারে ৮১টি ডল বল খেলে তারা। তবে পরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই প্রচেষ্টার ফল মেলেনি।
ভুসি সিবান্দার ৩৮ আর চামু চিবাবার ২৭ রানের ওপর ভর করে ৩২ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০৪ রান। এরপরই চার বলের মধ্যে ফিরে যান টিমিসেন মারুমা, এল্টন চিগুম্বুরা, ওয়ালার ও ক্রেমার।
জাসপ্রিত বুমরাহর করা ৩৩তম ওভারের শেষ দুই বলে আউট হন মারুমা ও চিগুম্বুরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলে ফিরেন চিগুম্বুরা। তিনি ধোনির ৩৫০তম ডিসমিসাল।
অক্ষর প্যাটেলের পরের ওভারের প্রথম বলে রান আউট হন ওয়ালার, দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ক্রেমার।
হ্যাটট্রিক হয়নি বুমরাহর, তবে নিজের পরের ওভারেই উইকেট নেন তিনি। ২২ রানে চার উইকেট নিয়ে এই পেসারই কম রানে বেধে রাখেন জিম্বাবুয়েকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪২.২ ওভারে ১২৩ (মাসাকাদজা ৮, চিবাবা ২৭, সিবান্দা ৩৮, মারুমা ১৭, ওয়ালার ৮, চিগুম্বুরা ০, মুতুমবামি ৪, ক্রেমার ০, মাডজিভা ১০*, মুপারিওয়া ১, টিরিপানো ২, বুমরাহ ৪/২২, চাহাল ২/২৫, প্যাটেল ১/১৬, কুলকার্নি ১/১৭)
ভারত: ২১.৫ ওভারে ১২৬/০ (রাহুল ৬৩*, ফজল ৫৫*; চিবাবা ০/১৫, টিরিপানো ০/১৫, মাডজিভা ০/২৫, ক্রেমার ০/২৬, মুপারিওয়া ০/৪৩)
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লোকেশ রাহুল
ম্যাচ অব দ্য সিরিজ: লোকেশ রাহুল।

Post a Comment