প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের
বাগাতিপাড়ায় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের
অধীনস্থ দৈনন্দিন
শ্রমিকদের মজুরী বৈষম্য দুর, সরকারী
ছুটি প্রদান
ও অভারটাইম
সহ তিন
দফা দাবীতে
পাহারাদার, দক্ষ শ্রমিক এবং দৈনিক
শ্রমিকরা কর্মবিরতি
পালন করে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন খামারের
পাহারাদার ও শ্রমিকরা কৃঞ্চা বাণিজ্যিক কৃষি
খামারে জড়ো
হয়ে এই
কর্মবিরতি পালন করে। এসময় তারা
ওই খামারের
ইনচার্জকে অবরোধ করা সহ বিক্ষোভ
প্রর্দশন ও
মানববন্ধন করে।
শ্রমিকদের ভারপ্রাপ্ত হাবিলদার
ছমির উদ্দিন
,আন্দোলনরত প্রহরী ফজুলুর রহমান ও
শাজাহান আলী
জানান, বাগাতিপাড়ার
কৃষ্ণা বাণিজ্যিক
খামারে দীর্ঘদিন
থেকে ৬২
জন পাহারাদার,
২২ জন
দক্ষ শ্রমিক
ও ৫
জন শ্রমিক
সরদার হিসেবে
কাজ করে।
এছাড়া সেখানে
দৈনিক শ্রমিকরাও
নিয়মিত কাজ
করে। সম্প্রতি
দৈনিক শ্রমিকদের
পারিশ্রমিক ভারী কাজের জন্য ১৭৫
টাকা থেকে
বাড়িয়ে ২৩০
টাকা এবং
হালকা কাজের
জন্য ১৬৫
টাকা থেকে
বাড়িয়ে ১৯০
টাকা করা
হয়েছে। তা
চলতি মাসের
১ নভেম্বর
থেকে চালু
হয়েছে। কিন্তু
পাহারাদার, দক্ষ শ্রমিক ও সরদারদের
ভারী কাজের
সম পরিমান
দৈনিক পারিশ্রমিক
পুূর্বে দেওয়া
হলেও এবার
তা না
বাড়িয়ে ১৭৫
টাকাতেই রেখে
দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য শ্রমিকরা
দিনে ৮
ঘন্টা কাজ
করলেও পাহারাদারদের
দিয়ে ১২
ঘন্টা কাজ
করানো হলেও
বাড়তি অর্থ
প্রদান করা
হয় না।
এছাড়া কোন
ধরনের ছুটিও
পাননা তারা।
অভার টাইম
ও সরকারী
ছুটিসহ অন্য
কোন সুযোগ
সুবিধা তাদের
নেই। রাত-দিন কাজ
করার পর
কেবল তাদের
বাড়ি ফেরা।
এই অবস্থায়
প্রহরীরা পরিবার
পরিজন নিয়ে
মানবেতর জীবন
যাপন করছেন।
তারা এ
বেতন বৈষম্য
দূর করে
দৈনিক ২৬০
টাকা হারে
পারিশ্রমিক নির্ধারণ, অতিরিক্ত সময়ের দায়িত্ব
পালনের অতিরিক্ত
পারিশ্রমিক এবং সরকারী ছুটি ভোগের
সুবিধার দাবি
জানান। এসব
দাবি মানা
না হলে
লাগাতার কর্মবিরতি
পালনের ঘোষনা
দেন তিনি।
পাহারাদার মাহাতাব, বেলাল,
মজিবুর বলেন,
ইতিপূর্বে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রতি সপ্তাহে
পরিশোধ করা
হলেও এখন
দেড় মাস
পেরোলেও তা
পাওয়া যায়না।
আবার প্রতি
সপ্তাহের বিলের
জন্য জন
প্রতি ১০
টাকা হারে
কেটে রাখা
হয়।
কৃঞ্চা বাণিজ্যিক কৃষি
খামারে কর্মরত
খামার প্রধান
খায়রুজ্জামান জানান, প্রহরীরা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী
কোন কর্মচারী
নন। তারা
দৈনন্দিন শ্রমিক।
কাজে যোগ
দিলে টাকা,
না দিলে
তাদের কোন
টাকা দেওয়া
হয় না।
শর্তসাপেক্ষেই মিল কর্তৃপক্ষ তাদের এই
কাজে নিয়োগ
দিয়েছেন। খামারে
তিন ক্যাটাগরির
শ্রমিক কাজ
করেন। যে
শর্তে তাদের
নিয়োগ দেওয়া
হয়েছে, সেই
শর্ত মোতাবেক
তারা
মজুরী পেয়ে থাকেন। এদের সরকারী
ছুটি, মজুরী
বৃদ্ধি ও
অভার টাইমের
কোন সুযোগ
নেই। তারা
চাইলে দৈনন্দিন
মজুরীতেও কাজ
করলে করতে
পারেন। কিন্তু
সেটা না
করে প্রহরী
থেকেই ২৩০টা
মজুরী দাবী
করছেন। এই
দাবী তাদের
অযৌক্তিক। তাদের দাবি-দাওয়া গুলো
লিখিত আকারে
দিলে উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাদের কর্মবিরতির
বিষয়টি মোবাইল
ফোনে কর্তৃপক্ষকে
জানানো হয়েছে।
নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল
আজিজ জানান,
সম্প্রতি সুগার
করপোরেশন থেকে
দৈনন্দিন শ্রমিকদের
মজুরী বাড়ালেও
প্রহরীদের মজুরী বাড়াননি। এতে তাদের
মধ্যে অসন্তোষ
সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে তারা
কাজ কর্ম
বন্ধ রেখেছেন
এবং অন্য
কোন শ্রমিক-কর্মকর্তাদের কাজ
করতে না
দিয়ে তাদের
ঘিরে রেখেছেন।
বিষয়টি উর্ধতন
কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা এবিষয়ে
সিন্ধান্ত দেবেন। তবে খামারের কাজ
কর্ম সচল
রাখতে অন্য
শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হবে।


Post a Comment