নাটোরের সদর উপজেলায় কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে প্রাণ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার ও মতবিনিময় সভায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক হযরত আলী বলেন, লাভজনক ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ।
নাটোরে শিল্পায়নে নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসকল বাধা সত্বেও ২০০০ সালে কৃষিভিত্তিক প্রাণ এগ্রো লিমিটেড নামে এ শিল্পকারখানা গড়ে তোলে। এর প্রধান লক্ষ কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বহুমূখী ব্যবহার এবং এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা। তিনি জানান, প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় প্রায় ছয় হাজার লোক কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ ভাগই নারী শ্রমিক। এর ফলে এলাকার সামাজিক সূচকের গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি সাধিত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এর পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, বৈষম্য প্রতিরোধ ও কারখানায় নারী-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানটি।
নাটোর কারখানায় আম সংগ্রহ ২৪ মে থেকে শুরু হয়েছে, আম প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামি আগস্ট মাস পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। এছাড়া এই কারখানায় ন্যায্যমূল্যে টমেটো, বাদাম, ডালসহ প্রয়োজনীয় কৃষিজাত ফসল সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়। নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রাণ এর একটি ডেইরি হাব রয়েছে। ডেইরি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে ২০১১ সালে প্রাণ নাটোরের একডালায় একটি ডেইরি একাডেমি স্থাপন করেছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় নাটোরে সান হেলথ কেয়ার নামে ৫০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। এখানে ন্যায্যমূল্যে রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল কাদের, উপ-সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হাশেম রেজাসহ কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment