প্রান্তজন রিপোর্ট: গভীর রাতে ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ ঢাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরেছেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, যার স্ত্রী ২০ দিন আগে চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে খুন হয়েছেন।
শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তিনি বলেন, তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার তদন্তের বিষয়ে ‘আলোচনা করতে’ তাকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল।এরপর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাবুল ঢাকার বনশ্রীতে তার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান বলে তার বাবা ওয়াদুদ মিয়া জানান।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে ওই বাসা থেকেই ঢাকার পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসে নিয়ে যান। এরপর থেকে বাবুল বা পুলিশের কোনো বড় কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে স্বজনদের মধ্যে তৈরি হয় সন্দেহ আর উদ্বেগ।
এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি করে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর আসার পর ডালপালা মেলতে শুরু করে নানা গুঞ্জন।
স্ত্রী হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাবুল আক্তার ফোনে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এগুলো কে বলল?”
তিনি বলেন, “আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যারা তদন্ত করছেন, তারা বিভিন্ন বিষয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন।”
সারা রাত তাদের এই ‘আলোচনা’ হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান জঙ্গি দমন অভিযানের জন্য আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা, যাকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে পদোন্নতি দিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
বাবুল ঢাকায় যোগ দেওয়ার তিন দিনের মাথায় ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার কাছে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু।
মোটর সাইকেলে করে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
চট্টগ্রামের পুলিশ বলে আসছিল, গত দুই বছরে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে বাবুলের ভূমিকার কারণে জঙ্গিদেরই সন্দেহের তালিকায় প্রথমে রেখেছেন তারা; সেভাবেই মিতু হত্যার তদন্ত করছেন তারা।

Post a Comment