প্রান্তজন রিপোর্ট: হাইওয়ে পুলিশের
আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নাটোরের সাথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পাবনার
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। নাটোরস্থ ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
হয়রানির অভিযোগ তুলে তারা নাটোরের সাথে বাস
চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তাদের অভিযোগ এবি পরিবহন নামে পাবনা বাস মিনিবাস মালিক
সমিতির নিয়ন্ত্রনাধীন একটি যাত্রিবাহি বাসের চালক সহ গাড়ির কাগজ দেখাতে না পারায় বাসটি
কিছুক্ষন আটকে রাখেন হাইওয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এতেই ক্ষুদ্ধ হন পাবনা বাস মিনিবাস
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। যিনি ওই বাসের মালিক।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, গত
সোমবার এবি পরিবহন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় নাটোরস্থ ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট
আব্দুল হামিদ চালকসহ গাড়ির কাগজ দেখতে চান। কিন্ত তারা কাগজ দেখতে ব্যর্থ হন। এসময় চালক তার মালিকের নাম
পরিচয় জানায় ওই সার্জেন্টকে। কিন্তু কাগজ ছাড়া কোন কথা শুনতে নারাজ সার্জেন্ট। বাসটি বেশ কিছুক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অবশ্য পরে নাটোর
বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সুপারিশে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে
কোন ঘেষনা ছাড়াই নাটোরের সাথে পাবনার বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সাথে নাটোরের
বাসগুলিকে পাবনা থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এসময় যাত্রিদের বিপাকে পড়তে হয়।
বাস মালিক-শ্রমিকদের অনেকেই জানান,এবি
পরিবহনের মালিক একদিকে পাবনা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এবং একই সাথে
বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। একারনে পরিবহন সেক্টরে তার দাপট একটু
বেশী। তার পরিচয় দেওয়ার পরও কেন গাড়ির কাগজ দেখতে চাওয়া হয়েছে সেটিই তার জন্য অপমানকর
বলে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে নিজের একক সিদ্ধান্তে নাটোরের সাথে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন।
নাটোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি
লক্ষন পোদ্দার জানান, পাবনা মালিক সমিতি কি কারনে গাড়ি বন্ধ রেখেছেন তা তিনি জানেননা
বলে জানান।
বিষয়টি জানতে চাইলে পাবনা বাস-মিনিবাস
মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ
ফাঁড়ির সার্জেন্ট হামিদকে গাড়ির কাগজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানোর পরও তিনি গাড়ি
আটকে রেখে হয়রানি করেন। এতে অন্যান্য গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে নাটোর রুটে
বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে তারা সার্জেন্ট হামিদের অপসারন দাবী
করেছে।
হাইওয়ে পশ্চিামাঞ্চল পুলিশের
পুলিশ সুপার ইসরাইল হাওলাদার জানান, কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও সার্জেন্ট মামলা
না দিয়ে বাসটি ছেড়ে দিয়েছেন। আর হয়রানির যে
অভিযোগ তুলে এমনটি করা হয়েছে তা খোদ পাবনার বাস মালিকরাই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
অবশ্য দুপুরের পর তারা নাটোরের সাথে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার কথা জানান। অন্যান্য
জেলার বাস মালিকগণও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

Post a Comment