Halloween Costume ideas 2015

দৈনিক প্রান্তজন || দ্বিধাহিন প্রকাশের প্রত্যয় || Doinikprantojon.com

Latest Post

নাইমুর রহমান: নাটোরের দুইটি সরকারী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি ভর্তি পরীক্ষায় খামখেয়ালীপনার অভিযোগ এনে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল লটারীর মাধ্যমে ভর্তি চালুর দাবী জানিয়েছে অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার নামে যা করা হয়েছে, তা প্রহসন মাত্র। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে তৃতীয় শ্রেণির পরিবর্তে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তির দাবীও জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
রবিবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসিবুল ইসলাম হাসিব নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, গত ২৩ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ের জন্য নির্ধারিত ২০ নম্বরের বিপরীতে ৪০ টি প্রশ্ন করা হয়। মাত্র ঘন্টায় ৪০ টি গণিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অনান্য বিষয়গুলোর উত্তর দিতে গিয়ে কোমলমতি পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করে একটির শুরুতে বাংলা, একটির ইংরেজি অপরটিতে গণিত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য দায়িত্বরত পরিদর্শকরা পরীক্ষার্থীদের বাধ্য করে। এতে করে যারা শুরুতেই প্রথমে বাংলা ইংরেজির প্রশ্ন সংবলিত প্রশ্নপত্র পেয়েছে তারা নির্ধারিত ৩০ নম্বরের উত্তর আগে দিতে পেরেছে। আর যারা গণিত বিষয় দ্বারা শুরু করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে, তারা অধিক প্রেেশ্নর উত্তর দিতে গিয়ে অন্যদুটি বিষয়ের উত্তর দিতে পারেনি। এতে করে পরীক্ষার্থীরা ২০ নম্বরের উত্তর দিতে গিয়ে বাকী ৩০ নম্বরের উত্তর দিতে পারেনি। অপরদিকে, বাংলা ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর আগে দেয়া পরীক্ষার্থীরা প্রথমে ৩০ নম্বরের উত্তর দেয়ার পর বাকী ২০ নম্বরের উত্তর পরে দিয়েছে। এতে করে সেট প্রশ্নপত্রের মধ্যে ১টি সেটের পরীক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে নম্বরের দিক দিয়ে পিছিয়ে গেছে। সেট প্রশ্নপত্র তৈরিতে খামখেয়ালীপনার কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়নি। জেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে তৈরি করা প্রশ্নপত্রের গণিত অংশে ২০ নম্বরের বিপরীতে ৪০টি প্রশ্ন না করতেন এবং পরীক্ষার হল পরিদর্শকরা যদি গণিতের উত্তর আগে করতে বাধ্য না করতেন, তবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী পরীক্ষা হলের পরিদর্শকদের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে সরকারী বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হারাতে হল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়।
সেলিনা আক্তার নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তার মেয়েকে গণিত প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা হয়। তা না হলে উত্তরপত্র বাতিল করার হুমকি দেন দায়িত্বরত পরিদর্শক।
মনোয়ারা বেগম নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, তার মেয়ে যে কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছেলো, সে কক্ষের ঘড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়। আর গণিতের উত্তর যাদের আগে দিতে হয়েছে তারা অনেকেই কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়েছেন।
জেলা অভিভাবক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান বলেন, ভর্তিযুদ্ধ নামের মানসিক যুদ্ধে যেভাবে কোমলমতি শিশুদের নামানো হচ্ছে, তাতে শিক্ষাজীবনের শুরুরদিকেই ভীতির সঞ্চার হচ্ছে তাদের মনে। তার উপর যখন ভর্তি পরীক্ষাটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয় নানা কারণে, তখন আস্থা হারায় অভিভাবকরা।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) . চিত্রলেখা নাজনীন নাটোর প্রেসক্লাবে একটি জাতীয় দৈনিকের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতা স্বচ্ছতার সাথে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। সকল প্রকার সুপারিশ অগ্রাহ্য করে ফলাফল দেয়া হয়েছে। যাবতকালে এরকম পরীক্ষা কমই হয়েছে।
তবে সংক্ষুদ্ধ অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলনের ব্যপারে পুনরায় জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি লাইন কেটে দেন।



প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রান্তজনের বার্তা সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন সাংবাদিক নাইমুর রহমান। গত ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৭খ্রিঃ থেকে তার বার্তা সম্পাদক পদে পদোন্নতি কার্যকর করা হয়েছে। নাইমুর রহমান নাটোর প্রেসক্লাবের সাহিত্য পাঠাগার সম্পাদক, ঢাকা থেকে প্রকাশিত দ্যা ডেইলি এশিয়ান এইজ পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক প্রান্তজনের স্টাফ রিপোর্টার। ২০১৫ সালের ৬ই জুন দৈনিক প্রান্তজনে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন নাইমুর।

এদিকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়ায় নাইমুর রহমানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দৈনিক প্রান্তজন সম্পাদক মোঃ সাজেদুর রহমান, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন, চীফ রিপোর্টার নাটোর টিভি রিপোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু, বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাতাব আলী, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মাসুম, নলডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সিংড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম কেন্দ্রিয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অমর ডি কস্তাসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সুধীবৃন্দ।

প্রান্তজন রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুটুক্তি এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য বাংলাদেশকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রের অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির উস্কানি দিয়ে বক্তব্যদানের অভিযোগ এনে নাটোরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি সহ রাষ্ট্রদোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বৃহষ্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম মালেক শেখ বাদী হয়ে দুপুরে নাটোরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে  মামলাটি দায়ের করেছেন শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মোঃ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী মামলাটি গ্রহণ করে নাটোর সদর থানার ওসিকে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ১লা ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল নামে একটি ফোরামের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র নয়, ভূখ- মাত্র এবং বাংলাদেশ ভারতের কলোনী উল্লেখ করে বক্তব্য দেন মাহামুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র গণমাধ্যমকে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার অবৈধ দিল্লীর তাবেদার
মামলার বাদী এম মালেক শেখ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের অস্তিত্ব রাষ্ট্র সম্পর্কে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাহমুদুর রহমান রাষ্টদ্রোহী আচরণ করেছেন। তার ধরণের বক্তব্য স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার মানুষদের উস্কে দিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ধরনের বক্তব্য কখনই মেনে নেয়া যায় না। তার বক্তব্যের প্রমাণ স্বরূপ একটি ইউটিউব ভিডিও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
নাটোর জর্জকোর্টের পিপি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।।




নবীউর রহমান পিপলু: ২০১১ সালের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাটোর সফরকালে শহরবাসীকে দেয়া ৭টি প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়কটির ডিভাইডারসহ প্রশস্তকরণ করা। বহু প্রতিক্ষার পর চলতি বছর আলোর মুখ দেখেছে প্রকল্পটি। গত অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে দৃশ্যমান কাজ। অবৈধ দখল হওয়া সড়ক জনপথ বিভাগের জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমে দখলমুক্ত করার কাজ শুরুতে চলছিল ঠিক ভাবেই। তবে মাস পার হতেই প্রশ্ন উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা সড়ক জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক  সম্প্রসারণের জন্য অবৈধভাবে দখলকৃত জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ভাঙ্গার পরিবর্তে টাকার বিনিময়ে তা বিরত থাকছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। তাদের টাকা দিলে থেমে যাচ্ছে ভাঙ্গার কাজ। আর না দিলে নিয়ম মেনে ভাঙ্গা পড়ছে অবৈধ দখলকারীদের স্থাপনা। ফলে সড়ক সম্প্রসারণের পরিবর্তে সংকুচিত থেকে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত অবৈধ দখলকারীরা। তাদের দাবী, সড়ক বিভাগের লোকজনদের টাকা দিলেই অবৈধ স্থাপনার বৈধতা দিচ্ছে সড়ক বিভাগ। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রপাগান্ডা বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, এডিবির অর্থায়নে নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস মোড় হতে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত এবং নাটোর শহরের প্রধান সড়কের মিডিয়ানসহ পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় মোট দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ ডিভাইডার, ফুটপাত কাম ড্রেনসহ ৪৮ ফুট প্রস্থের সম্প্রসারিত রাস্তার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিভাইডারের দুপাশে ১৮ফুট করে সড়ক প্রশস্তকরণ, ফুট ডিভাইডার, ১২০ মিটার আরসিসি ক্রস ড্রেন উভয় পাশের ৪ফুট করে ফুটপাত কাম ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল প্রকল্পটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড মীর শরীফুল হাবিবুল আলম জয়েন্ট ভেঞ্চার। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের জুনের মাঝামাঝি।  সম্প্রসারিতব্য সড়কটি রাজধানী ঢাকা বগুড়া জেলার সাথে রাজশাহীর সাথে নাটোর শহরের সংযোগ সড়ক।
সড়কটির দুই পার্শে¦ নাটোর রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, বাফার সার গোডাউন, একাধিক সরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক স্থাপনা। এগুলোর সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের কিছু না কিছু অংশ পড়েছে সরকারী জায়গায়। যা অবৈধ দখল হিসেবে বিবেচিত। অভিযোগ উঠেছে, ছোট পরিসরের স্থাপনাগুলো ভাঙ্গার ক্ষেত্রে দখলদাররা বাধা না দিলেও তুলনামূলক বড় স্থাপনার জন্য সড়ক জনপথ বিভাগের কর্তাদের মোটা অংকের উৎকোচ দিচ্ছেন দখলদাররা। টাকা না দেয়ায় ভাঙ্গা পড়ছে তাদের স্থাপনা।  ফলে টাকায় কমছে রাস্তা। এতে করে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত অবৈধ দখলদাররা।
শহরের আলাইপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুস সালাম, রামপাল, নান্টু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তাদের স্থাপনা ভাঙ্গা  হলেও প্রভাবশালীদের স্থাপনা ভাঙ্গা হচ্ছে না। তাদের স্থাপনার অপর অংশের ব্যবসায়ী আলাল, আজাদুল ইসলাম   ডিসি অফিসের সাবেক কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন পিন্টুর স্থাপনা বাঁচিয়ে রেখে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ করা হচ্ছে। তাদের স্থাপনাগুলো থেকে ফুট  সরকারী জায়গায় থাকলেও তা ভাঙ্গা হয়নি। অথচ সড়ক বিভাগ থেকে মাফ দিয়ে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের। কিন্তু  সড়ক বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। গোটা সড়ক এলাকায় এভাবেই টাকার বিনিময়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকেই। এছাড়া স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আলাইপুর এলাকায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক ভবনের সামনের অংশসহ ভবনের পাতাল সড়ক সিঁড়ি পথ সরকারী জায়গায় রয়েছে।
ডিসি অফিসের সাবেক কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন পিন্টু কাউকে টাকা দেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, অধিগ্রহণ করা তার শতক জমি চিহ্নিত করে দেয় সড়ক বিভাগ। সেই চিহ্নিত স্থান ভেঙ্গে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করা হচ্ছে। নিন্দুকেরা মিথ্যাচার করে তার সুনাম ক্ষুন্ন করছেন। 
ব্যবসায়ী আলাল এধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ পৌরসভার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সড়ক বিভাগের জায়গা চিহ্নিত করা হয়। সেই স্থান ধরেই সম্প্রসারণ কাজ হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আজাদুল ইসলাম বলেন, তিনি নিজে থেকে সরকারী জায়গায় থাকা তার স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে বিপদে রয়েছেন বাসাবাড়ির সেফটিক ট্যাংক নিয়ে। কাউকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন মিথ্যাচার বলে দাবী করেছেন তিনি।
সম্প্রসারণ কাজে অর্থের বিনিময়ে স্থাপনা রক্ষার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকল্পটির ওয়ার্ক এসিসটেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন দাবী করেন, স্বচ্ছতার সাথেই সমগ্র কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। অবৈধ দখলকারীদের থেকে সওজের জায়গা উদ্ধার করার কারণে দখলদাররা ক্ষুদ্ধ হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সড়ক বিভাগের স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চলতি নভেম্বরে বেশ কিছু কারণে প্রকল্পটি সংশোধিত হচ্ছে। এর মধ্যে স্টেশন বাজার রেলক্রসিং থেকে একতার মোড় হয়ে পূর্বদিক ঘুরে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটি ১৮ ফুটের পরিবর্তে আরো ফুট বৃদ্ধি করে ২৪ ফুট করা, আলাইপুর মুসলিম ইন্সটিটিউট থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত এবং মাদরাসা মোড় এলাকায় রাস্তাটি ৪৮ ফুট থেকে বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রয়োজনে জায়গা অধিগ্রহণ করা, পৌরসভার পানি সরবরাহের লাইন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে প্রাক্কলিত দুই কোটি ৭লক্ষ টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকল্পটি সংশোধিত-বর্ধিত হবে। এতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ প্রাক্কলন মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাটোর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ চলছে। সওজের জমি দখলমুক্ত করার কাজে  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ল্যান্ড শাখা, নাটোর পৌরসভা সওজের জন সার্ভেয়ার নিযুক্ত রয়েছেন বিধায় টাকার বিনিময়ে কোন অনিয়ম করে কাউকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার সুযোগ নাই। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হবে বলেও তিনি জানান। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।


প্রান্তজন রিপোর্ট: নাটোরের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে শত বছরের ইতিহাসের স্মারক উত্তরা গণভবন। সপ্তাহব্যপী এই ঐতিহাসিক স্থাপনা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক-আলোচনা-সমালোচনা যেন থামছেই না। শতবর্ষী গাছ কাটার ঘটনায় প্রশাসনের সাথে সরকারী দপ্তরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ হবার পর এবার স্থানীয় রাজনীতির সাথে প্রশাসনের তৈরি হয়েছে বৈরিতা। জেলা প্রশাসন, সরকারী দফতর ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ত্রিমুখি দ্বন্দ্বের বিতর্কে এখন প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন নাটোরের উত্তরা গণভবন। তদন্ত কমিটি কাজ শুরুর আগেই গণপূর্ত বিভাগের চার কর্মকর্তার নামে মামলার সিদ্ধান্তও সমালোচিত হচ্ছে জেলাজুড়ে।
'ল্যান্ড অব কুইন' খ্যাত নাটোরের সাধারণ জনগণ এই দ্বন্দ্বকে দেখছেন অন্যভাবে। গণভবনকে ঘিরে শহরজুড়ে এখন চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের কেউ কেউ মনে করছেন, সর্বসাধারণের জন্য ঐতিহাসিক এ স্থাপনা উন্মুক্ত করে দেওয়াই কাল হল গণভবনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দেশের যেখানেই হোক না কেন তা উন্মুক্ত করে মূলত এর আবেদনকেই কমানো হয়েছে। কারো মতে, গণভবনের শতবর্ষী বৃক্ষই এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ। কারো মতে, জেলা প্রশাসন গণভবনের কর্তৃত্ব গণপূর্ত বিভাগ থেকে নিজ আয়ত্ত্বে নেয়ার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন উঠেছে গণভবনে গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারীদের আবাসন প্রশ্নে এতদিন জেলা প্রশাসন নীরব থাকলেও এখন কেন গাছ কাটার ঘটনাতেই ওই কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়টি তোলা হচ্ছে। এই উত্তরা গণভবনের চারপাশের লেকের ধারে শতবছরের অন্তত ৩০০ প্রজাতির আমগাছ আছে। এছাড়া মেহগনি, নারিকেল, কাঠ বাদামসহ আরো পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে।  
আবার অনেকের ধারণা, গণভবনের মত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার কর্তৃত্ব জেলা প্রশাসনের আয়ত্বে থাকলে বিভিন্ন সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তোলা বির্তকের অবসান হবে। কেউ ভাবছেন, গণভবনের শতবর্ষী গাছ ও দীঘির (গণভবনের ভিতরের চারিদিকের লেক)  মাছকে টার্গেট করে এগোচ্ছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। আর গাছ কাটার ঘটনা একটা টেস্ট কেস ছিলো তাদের জন্য।
গত কয়েকদিনের সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক দশক ধরে দুর্লভ বৃক্ষরাজী ও সুবিশাল দিঘীর মাছের রক্ষণাবেক্ষণ ও চাষ  করে আসছে গণপূর্ত বিভাগ। তাদের নিয়োজিত তত্বাবধায়করা মূলত গণভবনে সর্বসাধারণের প্রবেশ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে আনসার ও পুলিশ। কয়েক দশক ধরে গণভবনের ভেতরেই অবস্থান করছে তত্বাবধায়ক ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এতোদিন বিতর্ক না থাকলেও সম্প্রতি গাছ কাটার ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে এ নিয়ে। বাদ যায়নি জেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা বিষয়টিও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গণভবনের ভিতরের লেক ২০০৫ সাল থেকে আর কোন ইজারা প্রদান করেনি গণপূর্ত বিভাগ। ওই বছরের পর থেকে মংস্য বিভাগ মৌসুমে কিছু দেশী মাছের পোনা ছেড়েছেন। ওই মাছের হদিস জানা নেই কারো।
এদিকে গাছ কাটার ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর নড়েচড়ে বসা প্রশাসন চাপের মুখে গঠন করেন তদন্ত কমিটি। গত ১৭ই অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের তোপের মুখে পড়েন জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ ও বন বিভাগের কর্তারা। সভায় তিনি গাছ কাটার সাথে জড়িতদের বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসককে। সেদিন গণভবন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় গাছ কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত গণভবনের দুই তত্বাবধায়ক আবুল কাশেম ও আব্দুস সবুর তালুকদারকে। তারা গণভবন ছাড়ার তিনদিনের মাথায় আবার গণভবনে ফিরে আসায় অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের দিকে।  অভিযোগ উঠে, সাংসদ শিমুলের হস্তক্ষেপে ৭ দিনের জন্য তারা গণভবনে ফিরে আসে। বলা হচ্ছে, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে সময় দিতে মানবিক কারণে তাদের গণভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 
তত্বাবধায়ক আবুল কাশেম জানান, ভবন ছাড়ার জন্য বুধবার তিনি তার দাপ্তরিক নির্দেশ পত্র পাওয়ার পর পরই ভবন খালি করতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ তার নিজস্ব মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন বা গণপূর্ত বিভাগের নির্দেশ পাওয়ার পর মৌখিকভাবে সময় বৃদ্ধির আবেদন করলেও বুধবার থেকে তিনি বা তার পরিবারের কেউ গ্রান্ড মাদার হ্উাস ভবনে ছিলেন না।
বিষয়টি স্বীকারও করেন সাংসদের প্রিয়ভাজন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দীলিপ কুমার দাস। তিনি জানান, মানবিক কারণেই তাদেরকে অন্তত ৭টা দিন তাদের গণভবনে রাখার জন্য জেলা প্রশাসককে বলা হয়। কিন্তু তারা কেউ থাকেননি। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা ফলাও করে প্রচার করে মিথ্যাচার করা হয়েছে। 
তবে সাংসদ শিমুলের এ পদক্ষেপকে ভালোভাবে নেয়নি জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন মনে করছে, গাছ কাটার সাথে জড়িত থাকার পরও একজন এমপির এহেন তৎপরতা দুঃখজনক।
এদিকে গণভবনের গাছ কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবীতে সোচ্চার একাত্তর পরিষদ। পরিষদের সভাপতি কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার জানান, উত্তরা গণভবন একটি সংরক্ষিত এলাকা। তাই সেখানে কী ঘটছে তা মানুষ সহজে জানতে পারে না। এই অবৈধ গাছ কাটা চলছে অনেকদিন ধরে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি সবে। এই অপকর্মের দায়ভার বেশ কয়েকটি বিভাগ এবং ব্যক্তির। তাদের মধ্যে আছে গণপূর্ত বিভাগ, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, ঠিকাদার, এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অমূল্য গাছগুলো কাটার সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালদের বাচানোর চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল মুয়ীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন গণভবনের তত্বাবধায়ক কাসেমসহ আরো তিন চুনোপুঁটির নামে মামলা দিয়ে ঘটনার মূল হোতা রাঘব বোয়ালরা নিজেদের পরিষ্কার দেখাতে চাইছেন। এই ঘটনার যদি বিচার না হয় তবে, নাটোরের ইতিহাসে তা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। তিনি জাতীয় ও বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন উত্তরা গণভবন রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবী করেন। 
এদিকে গঠিত তদন্ত টিম তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছে। বৈরি আবহাওয়া সত্বেও শুক্রবার সকাল থেকে তদন্ত দল উত্তরা গণভবনে কর্মরত আনসার সদস্য, নিরাপত্তা রক্ষী, মালি ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তদন্ত দলের সদস্য এনডিসি অনিন্দ্য ম-ল তদন্ত কাজ শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংসদ সদদ্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসককে না জানিয়ে এই গাছ কাটায়  গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীও জড়িত রয়েছেন বলে প্রমাণ হয়। তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে গণভবনের কেয়ার টেকার আবুল কাশেম দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরে গণভবনের গ্রান্ড মাদার হাউসে বসবাস করে আসছেন। সেখান থেকে নিজস্ব মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক কারণে কয়েকদিন সময় দিতে বলা হয়েছিল। বিষয়টি অন্যভাবে নেয়ার কিছুই ছিল না। শুনেছি দাপ্তরিক নির্দেশ পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবারের মধ্যে তারা গ্রান্ড মাদার হাউস ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই ভবনে তাদের রাখার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। 
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন  জানান, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম শুরু করা হবে। তদন্তে যার নাম উঠে আসবে তার বিরুদ্ধেই মামলা হবে। সে যেই হোক না কেন। কারো সাথে দ্বন্দ্ব বা বিভাজনের প্রশ্নই ওঠে না। জেলা প্রশাসক হিসেবে যতদিন নাটোরে থাকতে পারবেন, ততদিন উত্তরা গণভবন রক্ষায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। 




প্রান্তজন রিপোর্ট: অবশেষে নাটোর শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রায় কিলোমিটার প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০১২ সালে নাটোরে অনুষ্ঠিত জননেতা এড. হানিফ আলী শেখের স্মরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ৫৮কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে কাংখিত এই সড়কের প্রশস্তকরণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ শফিকুল ইসলাম শিমুল। শুক্রবার বিকেলে সড়কের উভয়দিকে বনবেলঘড়িয়া এবং বড় হরিশপুর এলাকায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক সামছুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাস, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী রতœ আহমেদ, বিউটি পারভিন, ঠিকাদার মীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড়ে নাটোর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী  প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আমরা দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশ এবং পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। সারা দেশের সুষম উন্নয়নের অংশীদার নাটোরবাসীও। বহু যুগ ধরে নাটোরের মানুষের কাংখিত শহরের প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে নিবিঘœ যাতায়াত ছাড়াও নাটোরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার মধ্য দিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
নাটোর সড়ক জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত ১২দশমিক ২০ মিটার সড়কের মাঝে ডিভাইডারের উভয় দিকে ১৮ ফুট করে রাস্তা প্রশস্তকরণ করা হবে। রাস্তার উভয় দিকের মোট ৩৬ ফুট রাস্তা ৮ফুট ফুটপাত এবং চার ফুট মিডিয়ানসহ সড়কের মোট প্রশস্ততা হবে ৪৮ ফুট। সড়কের উভয় দিকের  প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন না হলেও সড়কের ধারের কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে সড়কের দুধারে অনেক ব্যবসায়ী তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। কাঙ্খিত সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের উদ্বোধন করায় নাটোরবাসীর প্রায় ৪০ বছরের প্রত্যাশা পুরণ হলো। সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হওয়ায়  শহরবাসীর সকলেই আনন্দিত।

নাটোর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, প্রকল্পাধীন সড়কের দুধারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৯৬ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তরের জন্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।  ইতোমধ্যে সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। নাটোর পৌরসভার মাধ্যমে পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও খুব শিঘ্রি শুরু করা হবে। চলতি অর্থ বছরে প্রকল্পের ব্যায় নির্বাহের জন্যে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের আগেই এই  প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget